অবিশ্বাস্য ম্যাচ জিতিয়ে রিংকু বলেছেন, ‘শুধু ছয় মারার চেষ্টা করেছি’

ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে উঠে আসা অতিসাধারণ ঘরের ছেলে রিংকু সিং। অভাবের সংসারে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে না পারায় পরে আর স্কুলেই যাননি। ব্যয় নির্বাহে ঝাড়ুদারের কাজও করেছেন! অবশ্য কঠিন বাস্তবতার মাঝেও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে কোন ছাড় দেননি কখনও। নিজের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে গেছেন অবিরাম। যার অবিশ্বাস্য রূপ দেখা গেলো গতকাল।

আইপিএল গুজরাটের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জয়ে অবদান ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটারের। শেষ ৫ বলে টানা ৫ ছক্কায় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩ উইকেটের অভাবনীয় এক জয় এনে দিয়েছেন। ম্যাচ জয়ের পর সবারই জানার ইচ্ছা ঠিক ওই সময় কী চলছিল এই ২৫ বছর বয়সীর মাথায়। রিংকু বলেছেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে এমনটা করতে পারবো। রানা (অধিনায়ক নীতিশ রানা) ভাই আমাকে আত্মবিশ্বাস রাখার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে বলেছিলেন।’

২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কলকাতা একটা পর্যায়ে স্বস্তিতেই ব্যাট করছিল। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৪০ বলে ৮৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস তাদের কক্ষপথে রেখেছিল। দলের ১৫.৫ ওভারে তার আউট হওয়ার পর অ্যান্টি ক্লাইমেক্সের জন্ম দেন রশিদ খান। ১৭তম ওভারে টানা তিন বলে বিদায় দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও শার্দুল ঠাকুরকে! ততক্ষণে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও শেষ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল! কিন্তু রিংকু সিং প্রান্ত আগলে অবিশ্বাস্য এক ফিনিশিংয়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন ম্যাচ।

রশিদের হ্যাটট্রিকে সাত উইকেট পড়লে শেষ ১২ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান! রিংকু সিং ঠিক ১৯তম ওভারের শেষ দিকে জ্বলে ওঠেন বিধ্বংসী ভাবে। ২১ বলে উপহার দিয়েছেন ৪৮* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।

জশ লিটলের ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে ৬, ৪ মেরে শেষ ৬ বলে ব্যবধান নিয়ে আসেন ২৯ রানে। তার পর যশ দায়ালের ১৯.২ ওভার থেকে শুরু করেন ছক্কা বৃষ্টি! অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে টানা ৫ ছক্কায় বিজয়ী বেশে শেষ করেছেন ম্যাচ। ওই শেষ ওভার নিয়ে রিংকুর কথা, ‘আমি শুধু ছয় মারার চেষ্টা করেছি। উমেশ ভাই আমাকে চিন্তা করতে নিষেধ করছিলেন। বলছিলেন শুধু খেলে যেতে। তখন বল অনুযায়ী সাড়া দিয়েছি। বিশ্বাসটা ছিল এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।’