চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ। স্বাগতিক চট্টগ্রাম এই ম্যাচে বরিশালকে ৮৭ রানে হারিয়েছে।
চট্টগ্রাম টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে পিনাক ঘোষ ও মুমিনুল হক সৌরভের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে। দুজনই সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছেন। পিনাক ৯৬ ও মুমিনুল ৯৪ রান করেন। চট্টগ্রামকে অল্প রানে আটকে রাখার নায়ক সোহাগ গাজী। এই স্পিনার নেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া কামরুল ইসলাম ও মঈন খান নেন দুটি করে উইকেট।
চট্টগ্রামকে অল্প রানে অলআউট করে ব্যাটিং নেমে বরিশালও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৩৫ রানে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস আসে মঈন খানের ব্যাট থেকে। চট্টগ্রামের ইয়াসির আলী মিশু সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ইফরান হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও নাঈম হাসান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
৩ রানে এগিয়ে থেকে চট্টগ্রাম নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শক্ত অবস্থানে নেয়। ইয়াসির আলী রাব্বি (৭৪), শামীম পাটোয়ারী (৬৭) ও নাঈম হাসানের (৫১) ব্যাটে চট্টগ্রাম ৩০৮ রান সংগ্রহ করে। তাতে বরিশালের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১২ রানের।
বরিশালের হয়ে রাব্বি ৫টি এবং মইনুল ইসলাম ও মঈন খান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
৩১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। হাসান মুরাদ, ফরহাদ হোসেন ও নাঈম হাসানের বোলিংয়ে ২২৪ রানে থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর সাত নম্বরে নেমে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন সোহাগ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পর এমন ব্যাটিংয়ে দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি জেতেন তিনিই।
চট্টগ্রামের হাসান সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। ফরহাদ ও নাঈম নেন দুটি করে উইকেট।
এদিকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রংপুর বিভাগকে হারিয়েছে ঢাকা। চারদিনের ম্যাচটি শনিবার তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যায়। রনি তালুকদারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ঢাকা ২৩ রানে রংপুরকে হারায়।