বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ জানালেন তাসকিন

ভারত বিশ্বকাপ নিয়ে আকাশ সমান স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তো দূরে থাক, কাছাকাছিও যেতে পারেনি। আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিতে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে। বিশেষ করে স্পোটিং উইকেটে ব্যাটারদের রান করতে না পারার ব্যর্থতার কারণেই এই ভরাডুবি। দলের পেসার তাসকিনও জানালেন ব্যাটাররা রান করতে না পারাতেই এভাবে হারতে হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ বলেছেন, ‘ব্যাটিং উইকেটে আমরা যথেষ্ট রান না করায় খানিকটা কম ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করেছে প্রতিপক্ষরা। যখন থিতু হয়ে গেছে তখন আবার মেরে খেলছে। যদিও আমরা আরও ভালো বোলিং করতে পারতাম। ভারতে খেলে কেউ যদি ছয় কিংবা সাড়ে ছয় ইকনোমিতে ১০ ওভার শেষ করতে পারে এটা খুব ভালো।’

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে দারুণ ফর্মে ছিলেন তাসকিন। তিনিও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি। মূলত স্পোর্টিং উইকেটে বোলিং করার অনভিজ্ঞতার কারণেই তাসকিনসহ দলের অন্য পেসারদের ভারতে ভুগতে হয়েছে। তাসকিন ৭ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট নিয়েছেন! ২ ম্যাচে ছিলেন একাদশের বাইরে। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন এই পেসার, ‘আমার কাছে মনে হলো, ভালো করতে পারিনি, সামনে আবার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আশা করা ছাড়া তো কিছুই নেই জীবনে। না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে এই আরকি।

ওটিস গিবসন বদলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের কাঠামো। পেসারদের উন্নতিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। গিবসনের অসমাপ্ত কাজ দারুণভাবে সামলে পেসারদের শাণ দিচ্ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড। কিন্তু তিনিও বিদায় বলে দিয়েছেন। ডোনাল্ডের চলে যাওয়া নিয়ে কিছু না বললেও তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাসকিন, ‘তিনি অসাধারণভাবে টেক কেয়ার করতেন আমাদের ফাস্ট বোলিং গ্রুপকে। ভালো হোক বা খারাপ, তিনি সবসময় পাশে থাকতেন, উজ্জীবিত করতেন।’

বাস্তবতা মেনে নিয়ে তাসকিন আরও একজন ভালো কোচ পাওয়ার অপেক্ষায়, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি তার সঙ্গে কাজ করে। তিনি চলে গেলেন…. এটাই জীবন… পেশাদার জীবন। সব কোচই ২-৪ বছর পরপর যাবে-আসবে। তার সামনের দিনগুলির জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরেকজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি।’