বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা: তাইজুল

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট। টাইগারদের দেওয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যে আজ চতুর্থ দিনে ১১৩ রান তুলতে কিউইরা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের ১৭ উইকেটের মধ্যে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নিয়ে দলকে জেতানো সুবাসে আনার মূল ভূমিকায় বাঁহাতি এই স্পিনার।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিনিময় করেন দিনের অভিজ্ঞতা। শেষদিনে কিউইদের চাই ২১৯ রান। আর বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৩ উইকেট। ‘নিশ্চিত জয়’ দেখা গেলেও তাইজুল এখনই উল্লাসে ভাসতে চান না। তিনি বলেন, ‘এখনও জিতি নাই, তবে ইনশাআল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বড় দলকে হারালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দল বদলে যাওয়ার আভাস থাকে। পুরো বছর যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারি। কয়টা ম্যাচ জিতবো বা জিতবো না জানি না, তবে বাংলাদেশকে যেন ভালো কিছু দিতে পারি। বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা।’

এদিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় বাঁহাতি স্পিন সামলানোর ভার তাইজুলের কাঁধেই। যদিও ‘কে আছেন, কে নেই’— সেসব না ভেবে নিজের পরিকল্পনাতেই অটুট থাকেন তাইজুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্ল্যানেই থাকি। সাকিব ভাই থাকুক আর না থাকুক, আমার সঙ্গে আরও স্পিনাররা আছে। গেম বাই গেম প্ল্যান এরকম হয়— কেউ উইকেট নিবে কেউ রান আটকে রাখবে। আমি রান আটকালে হয়তো মিরাজ বা নাঈম উইকেট পেতো। যে থাকুক আর না থাকুক, আমরা ভালো খেলছি কিনা এটাই জরুরি।’

সাকিব দলে না থাকায় বাঁহাতি স্পিন সামলানোর ভার তাইজুলের কাঁধেই

প্রথমবারের মতো টেস্ট বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাইজুল। শান্তর অধিনায়কত্বে প্রসঙ্গে তার উত্তর, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে সে ভালো, অনেক ডিসিশনই নেয়। যেখানে আটকে যায় আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার যারা আছে, মুশফিক ভাই আছে, সৌরভ আছে, এমনকি আমাকেও বলে। যেখানে আটকে যায় সেখানে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করি। আর তার তো একটা নলেজ আছেই। ৫-৬ বছর ধরে খেলছে, তার মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইয়ে (সেন্স) আছে। আমার মনে হয় সে খারাপ না, ভালো আছে।’