পাপন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব বিসিবির পদ ছাড়বেন

মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে পারেন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও দুটি দায়িত্ব পালনে কোনও আইনি বাধা নেই। তবে বিসিবি সভাপতি পাপন জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়বেন।

একই সঙ্গে বিসিবির সভাপতি ও মন্ত্রিত্ব পালন করেছেন অনেকেই। ৪ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৮ আগস্ট ২০০১ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময়ের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন সাড়ে তিন বছর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

সেখানে প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটের সুখ-দুঃখে সবসময়ই পাশে দেখা গেছে তাকে। তবে একই সঙ্গে পাপন ছিলেন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে। রাজনীতির মাঠেও পরিচিত মুখ তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়াদে এসে পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে নতুন দায়িত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করবো এই বছর শেষ করা যায় কিনা।’

পাপন এই ইস্যুতে আইসিসিরও কিছু নিয়ম-নীতির কথা উল্লেখ করেছেন, ‘আইসিসির এখন কতগুলো নিয়ম আছে, ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ, আইসিসির যে কমিটিগুলোতে আছি, আমি আবার চেয়ারম্যানও আছি। ওই দায়িত্বগুলো ওদের টার্ম শেষ হওয়ার আগে শেষ করা যায় না। আর আমাদের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে যে আমার এই মেয়াদ শেষ করতে হবে, তাহলে আমার সামনের বছরে যেতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যদি পারি তাহলে ছেড়ে দেবো।’

ক্রিকেট ছাড়তে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বো। ক্রিকেট কোনও দিন ভুলার বিষয় না। এটা তো ছাড়তে পারবোই না। সভাপতি না থাকি বা পরিচালক না থাকলেও ক্রিকেট নিয়েই থাকবো। এটা থেকে বের হওয়ার কোনও পথ নেই।’

বর্তমান আইসিসি নির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে এই বছর। তাই সেখানকার অনেক সাব-কমিটিতে থাকায় এখনই হয়তো সরে দাঁড়াতে পারবেন না নাজমুল হাসান। তিনি সরে দাঁড়ালে শূন্যস্থান পূরণে বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন নতুন সভাপতি। বিসিবি’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমনটাই বলা আছে।