অজুহাত না দিয়ে পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে চান শান্ত

শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দুইজনই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন। তাদের দুজনের রান ৪৭৬ রান। সিলেট টেস্টে লঙ্কান এই দুই ব্যাটারের মোট রানের সমানও করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ফলশ্রুতিতে ৩২৮ রানের বড় হার দিয়ে শেষ হলো সিলেট টেস্ট। আগামী শনিবার চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটে টেস্টের ব্যর্থতা মেনে কোনও অজুহাত দিতে চান না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বরং ভুলগুলো শুধরে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে তারা।

লঙ্কানদের বিপক্ষে এতো বাজে পারফরম্যান্সের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই সামনে আনলেন শান্ত, ‘বড় হোক আর ছোট রানের হোক, হার তো হার। ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন না। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচ ভালো করব।'

বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটার কেউই রানের দেখা পাননি সিলেট টেস্টে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্তর মুখেও ঝরেছে ব্যাটিং নিয়ে হতাশার কথা, ‘আমাদের নতুন বলের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। পরের টেস্টের আগে অনেক কাজ রয়েছে। শক্তিশালী হয়ে ফিরতে আমাদের পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি।’

প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে শান্ত অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে ভালো করতে মুখিয়ে আছেন, ‘আমরা যেভাবে ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি, কীভাবে চিন্তা করছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটা খারাপ গেছে। সব দিক থেকেই দল হিসেবে আমরা ভালো খেলিনি। আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু নিতে পারিনি। পরের ম্যাচে কীভাবে আরও প্রস্তুত হয়ে আসছি, ছোট ছোট ভুল যেন না করি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।'

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা ৫৭ রানেই হারায় ৫ উইকেট। তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস ২০২ রানের জুটি গড়লেই লঙ্কানদের ইনিংস ২৫০ ছাড়ায়। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁরা দুজন সেঞ্চুরি করেন ও ২০০ এর কাছাকাছি জুটি গড়েন। ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘ডিডিএস (ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা) ও কামিন্দু যেভাবে ব্যাটিং করেছে, কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। যেভাবে শুরু করেছিলাম, আমাদের পেসারদের নিয়ে গর্বিত। উইকেট ভালো ছিল।’