কোহলিকে ছাপিয়ে নারিন-ভেঙ্কটেশে কলকাতার সহজ জয়

বিরাট কোহলির ইনিংসে ভর করে চার দিন আগে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটার। শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষেও হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে এবার কিন্তু নায়ক হতে পারেননি। তার ব্যাটে ভর করে বেঙ্গালুরুর করা ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা। আইপিএলের দশম ম্যাচে এসে প্রথমবার হোম টিম পরাজয় বরণ করলো।

সুনীল নারিন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের দুর্দান্ত ইনিংসের বদৌলতে ১৭তম ওভারের এক বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে তারা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পর বেঙ্গালুরুকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কোহলি ও ক্যামেরন গ্রিনের ঝড়ো ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান করে বেঙ্গালুরু। তারপর থেকে উইকেট মন্থর হয়ে পড়ে। যদিও কোহলি একপ্রান্ত সামলে ৩৬ বলে ফিফটি করেন। দুইবার জীবন পাওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৯ বলে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। কোহলি ৫৯ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ দিকে দিনেশ কার্তিকের ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে।

আইপিএলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৪৭ রানের খরুচে বোলিং করেন। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারষিত রানা ও আন্দ্রে রাসেল।

লক্ষ্যে নেমে নারিন ও ফিল সল্টের ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৮৫ রান তুলে জয়ের ভিত গড়ে কলকাতা। আর একটি রান করে এই জুটি ভেঙে যায়। নারিন ২২ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৭ রানে থামেন। টানা দ্বিতীয় ওভারে সল্টের ইনিংসেরও ইতি ঘটে। ২০ বলে ৩০ রান করেন তিনি।

তারপর দুই আইয়ার মিলে দলকে সহজ জয়ের পথে নিতে থাকেন। যদিও তাদের জুটি জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। জয় থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে তাদের বিচ্ছিন্ন হতে হয়। ভেঙ্কটেশ ৩০ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫০ রান করে থামেন, ভাঙে ৭৫ রানের জুটি। শ্রেয়াস ২৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫ রানে খেলছিলেন রিংকু সিং।