চলতি অর্থবছরে বিসিবির নিট আয় ৩৯ কোটি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়-ব্যয় নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৬ কোটি টাকা আয় করলেও তাদের ব্যয়ও বেড়েছে। এই অর্থ বছরে মোট ৪০৭ কোটি টাকা নানা কাজে ব্যয় করতে হয়েছে বিসিবিকে। তাতে করে চলতি অর্থ বছরে বিসিবির নিট আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি টাকায়। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আজ রবিবার (৩১ মার্চ) বিসিবির চলতি বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেছেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিসিবির সার্বিক বাজেট ৪৪৬ কোটি টাকা, ব্যয় ৪০৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিপিএলও আছে। সবমিলিয়ে উদ্বৃত্ত ৩৯ কোটি টাকা। আমাদের আয় বাড়েনি। তবে, ব্যয় অনেক বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে কী করবো, তা ভেবেই এখন চিন্তা হচ্ছে।’

এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটসহ অন্য ইভেন্টগুলো সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বিসিবি টিভি চালু করার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সাধারণত দুটি টিভি আমাদের খেলাগুলো দেখায়। এখন তারা যে সমস্ত খেলা দেখাবে না সেগুলো আমরা নিজেদের টিভিতে দেখাবো। এখন টেস্টের পাশাপাশি মেয়েদের সিরিজ ও প্রিমিয়ার লিগ চলছে। এই দুটি খেলা দেখানো হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করবো, মূল দলের খেলার পাশাপাশি বাকি খেলাগুলো দেখানোর। আমরা চাই ঘরোয়া ক্রিকেট টিভিতে দেখাতে। এটা যদি টিভিতে দেখানো হয় তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়বে। আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো সমস্যা হলেও ধরা পড়বে।’

এর বাইরে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা আরও গতিশীল ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে বোর্ডের আইনি পরামর্শকের সুপারিশক্রমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র (২০২২ সালে সংশোধিত)-এর অনুচ্ছেদ-৬ এর উপানুচ্ছেদ-৬.১৭ এবং ৬.২০ এ আনীত সংশোধনী প্রস্তাবনা সমূহ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। এছাড়া বিসিবির অর্থ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক হিসেবে বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থরটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের বাংলাদেশি সদস্য ফার্ম হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোংকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এজিএমে।

ইতোমধ্যে বরিশাল ছাড়া বাকি ছয় বিভাগের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছে। বরিশালের পরিচালক আলমগীর আলো অসুস্থ থাকায় সেটি এখনো শুরু করা যায়নি। বিসিবির সবশেষ এজিএম হয়েছিল ২০২২ সালে। এর আগের এজিএমে (২০২১) আসে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার ঘোষণা। যার দৃশ্যমান হয়নি কোন কিছুই। এবারের এজিএমে অ্যাডহক কমিটিকে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। এই মুহূর্তে পরীক্ষামুলক ভাবে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এজন্য প্রতিটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে ২০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।