লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই

ওপারে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে আর কয়েকটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশে ফিরতে হবে তাকে। এখন তার দেশ বড় নাকি আইপিএল বড়, সেটা নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। মাঠের বাইরে আলোচিত বাঁহাতি পেসার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে করলেন ছন্নছাড়া বোলিং। মাত্র ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের অন্য বোলাররাও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। তাই লখনউর মাঠে তাদের হারতে হয়েছে ৮ উইকেটে।

মোস্তাফিজ আগের পাঁচ ম্যাচে প্রতিটির মতো এবারও খালি হাতে ফেরেননি। যদিও চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন তিনি। কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুলের কাছে শেষ দুই ওভারে ১৩ ও ১৫ রান দিয়েছেন। মোট ৪৩ রান দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। এছাড়া তার মতো দশের বেশি ইকোনমি রেট রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার দেশপান্ডের।

ডি কক ও রাহুল মাত্র ৯০ বলে ১৩৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। ডি কক ৪৩ বলে ৫৪ রান করে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ক্যাচ দেন , বোলিংয়ে ছিলেন মোস্তাফিজ।

রাহুল ৫৩ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৮২ রানে মাথিশা পাথিরানার শিকার হন লক্ষ্যের বেশ কাছে গিয়ে। নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টয়নিস সময় নষ্ট করেননি। তাদের জুটিতে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় লখনউ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে জাদেজা হাল ধরেন। ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

৯০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর চেন্নাই ঘুরে দাঁড়ায় মঈন আলী ও জাদেজার ৫১ রানের জুটিতে। মঈন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। ওপেনার আজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে আসে ৩৬ রান। 

ধোনি শেষ দিকে ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে স্কোর একশ আশির কাছে নেন। 

৭ ম্যাচে তৃতীয় হারে ৮ পয়েন্ট পেয়ে আগের অবস্থান তিনেই আছে চেন্নাই। লখনউ সমান খেলে চতুর্থ জয়ে একই পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।