দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট

২২৪ রানের বড় সংগ্রহ করেও ঘাম ছুটলো দিল্লি ক্যাপিটালসের। আগের দিন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৭ রানের প্রয়োজন মিটিয়ে জিতেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আর দিল্লির বিপক্ষে জিততে গুজরাট টাইটান্সের শেষ ওভারে লাগতো ১৯ রান। রশিদ খান মুকেশ কুমারকে তুলোধুনো করলেন ৫ বলে ১৪ রান নিয়ে। শেষ বলে স্নায়ু ধরে রেখে কোনও রানই দেননি মুকেশ। ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় দিল্লি।

আগে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লিকে সন্দীপ ওয়ারিয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে ৪৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে বিপদে ফেলেন। অক্ষর প্যাটেল ও রিশাভ পান্ত চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৩ রান তোলেন। ১৭তম ওভার শেষে অক্ষর আউট হন ৪৩ বলে ৬৬ রান করে।

শেষ তিন ওভারে ৬৭ রান তোলেন ট্রিস্টান স্টাবস ও পান্ত। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৮ ছয়ে ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক পান্ত। ৭ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৬ রান করে টিকে ছিলেন স্টাবস।

৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে মোহিত শর্মা ছিলেন গুজরাটের সবচেয়ে খরুচে বোলার।

লক্ষ্যে নেমে ১৩ রানে গুজরাট অধিনায়ক শুবমান গিল (৬) বিদায় নেন। তারপর ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন হাল ধরেন। ৮২ রানের জুটি গড়ে দিয়ে ৩৯ রানে কুলদীপ যাদবের শিকার হন ঋদ্ধিমান।

এরপর রাশিখ সালামের বোলিংয়ে ধাক্কা খায় গুজরাট। দিল্লির বোলার সাইকে ৬৫ রানে ফেরানোর পরের ওভারে শাহরুখ খানকে বিদায় করেন। কুলদীপের আরেক আঘাতে ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে দিল্লির সংগ্রহ ১৫২ রান। ডেভিড মিলার ঝড় তুলে ম্যাচে লড়াই ফেরান।

২৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রান করেন মিলার। ১৮তম ওভারে দলীয় ১৮১ রানে থামেন তিনি। এরপর সাই কিশোর ও রশিদের শেষ লড়াই।

কিশোর ৬ বলে ২ ছয়ে ১৩ রান করে এক ওভার বাকি থাকতে রাশিখের তৃতীয় শিকার হন। রশিদ শেষ ৬ বলে ১৯ রান করার দায়িত্ব পেয়ে হাল ছাড়েননি। যদিও নায়ক হওয়ার সুযোগ হারান। ৮ উইকেটে ২২০ রান করে গুজরাট।

৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাটকে সাতে নামিয়ে ছয়ে উঠলো দিল্লি।