আইপিএলে তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠলো তারা।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল শীর্ষ দুই দল। কিন্তু লড়াই এতটাই একপেশে হলো যে, মনে হচ্ছিল প্রথম আর তলানির দলের লড়াই। হায়দরাবাদ টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল, ওই একটা জায়গাতেই এদিন জিতেছিল তারা। কলকাতা প্রথম বল থেকে শুরু করে শেষ বল পর্যন্ত দাপট দেখায়।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৯ রানে চার উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। আইনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে রাহুল ত্রিপাঠী এই ধাক্কা সামলে নেন। তাদের ৩৭ বলে ৬২ রানের জুটি ভেঙে গেলে আবার নড়বড়ে হয়ে পড়ে ব্যাটিং লাইন।
ক্লাসেন ২১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান করেন। রাহুল ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৫ উইকেটে ১২১ রান করা হায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১২৬। সেখান থেকে আইপিএলে হায়দরাবাদের রেকর্ড দশম উইকেট জুটিতে স্কোর দেড়শ পার করেন প্যাট কামিন্স ও বিজয়কান্ত। ২১ বলে ৩৩ রান যোগ করেন তারা। ৩০ রান করেন কামিন্স, ৭ রান আসে বিজয়কান্তের ব্যাটে। ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হায়দরাবাদ।
মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি পান বরুণ চক্রবর্ত্তী।
লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান তুলে বিদায় নেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগানিস্তান ওপেনার ১৪ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ২৩ রান করেন। সুনীল নারিন বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। ১৬ বলে করেন ২১ রান।
তারপর দুই আইয়ারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩.৪ ওভারে জিতে যায় কলকাতা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ৪৪ বলে ৯৭ রানের। ২৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কটেশ, ২৪ বল খেলে সমান বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ৫৮ রানে অপরাজিত অধিনায়ক শ্রেয়াস। ২ উইকেটে ১৬৪ রান করে তারা।
হায়দরাবাদের ফাইনালে খেলার আশা ফুরিয়ে যায়নি। রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বুধবার এলিমিনিটেরে খেলবে। ওই ম্যাচ জয়ীর সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে হায়দরাবাদ।