চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)

আইপিএলে এবারই প্রথম চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেখানে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন প্রথম আসরেই। দলটির সফলতম বোলার তিনি। জানিয়েছেন, সুযোগ পাওয়ার আগে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা তার কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। তবে ক্রিকেট ভীষণ পছন্দ করলেও টিভিতে সেটা খুব বেশি দেখেন না তিনি।

বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা অবস্থাতেই মোস্তাফিজকে দুই কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যে দলে ভেড়ায় চেন্নাই। যারা যৌথভাবে আইপিএলের অন্যতম সফল দল। আছে পাঁচটি শিরোপা। এই দলটির হয়ে সাত ম্যাচে মোস্তাফিজ ১২ উইকেট নিয়ে তাদের সফলতম বোলার। চেন্নাইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘এটা চেন্নাইয়ে আমার প্রথম মৌসুম। ২০১৬ সালে যখন আইপিএল খেলা শুরু করি। তার পর থেকে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন। যখন জানতে পারি (চেন্নাইয়ে হয়ে খেলতে যাচ্ছি), ওই রাতে আমার ঘুম আসছিল না। পর দিন খেলা ছিল, তখন নিউজিল্যান্ডে ছিলাম। রাতে ঘণ্টা খানেকের মতো ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে দেখি শুধু ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ আসছে। দেখি সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে যে, আমি চেন্নাই টিমে সিলেক্ট হয়েছি।’

এখানকার উপভোগ্য পরিবেশ সম্পর্কেও জানান ২৮ বছর বয়সী, ‘জাতীয় দলে যেমন সবাই বন্ধুভাবাপন্ন থাকে। এখানেও আমার কোনও সমস্যা মনে হয়নি। যেটা আমার মনে হয় বড় দিক। মাহি ভাই কিছু ফিল্ডিং সেটআপ, তার পর ব্রাভো ডেথ ওভারে কিছু ফিল্ডিং সেটআপের কথা বলেছিল। এসব ছোট ছোট বিষয় আমার খুব কাজে দিয়েছে।’

মোস্তাফিজ মনে করেন, এখানে সফল হলে অন্য যে কোনও জায়গায় সফল হওয়াটা তার জন্য সহজ, ‘দলের সবার সঙ্গে বোলিং নিয়েই বেশি কথা হয়। মাঠের বাইরে খুব কম কথা হয়। আর মাহি ভাই (মহেন্দ্র সিং ধোনি) এসেই বলে থাকেন কোনটা করলে ভালো। অন্য যে কোনও টুর্নামেন্টে চেয়ে আইপিএলে সব স্টাররা থাকে সব দেশের। এখানে যদি সফল হই, অন্য জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হবে বলে আমার কাছে মনে হয়।’

তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘বেশি ভালো লাগা কাজ করে যখন বড় কোনও দলের বিপক্ষে খেলি। আর বড় দলের বিপক্ষে যদি আপনি পারফর্ম করেন, সেটার হাইলাইটসও হয়ও বেশি। আর বড় দলের বিপক্ষে সব সময়ই খেলতে ভালো লাগে। যেহেতু সব মিলিয়ে দর্শক থাকে।’

মোস্তাফিজ জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করলেও খেলাটা টিভিতে খুব বেশি দেখেন না তিনি, ‘বরাবরই আমি খেলা খুব কম দেখি। খেলতে পছন্দ করি। তবে আমার মনে হয় ডেথ ওভারের দিকে দেখাটা আমার জন্য ভালো। বিশেষ করে যখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখি, শেষ চারটা ওভারের খেলা দেখি। দেখি ব্যাটাররা কোন দিকে বল মারছে, কী করে। এসব দেখি বেশি। কিন্তু পুরো ৪০ ওভার দেখি কম।’