নিউইয়র্কে সাকিবের ব্যবহারে মুগ্ধ বাংলাদেশের সাবেক গোলকিপার 

স্ত্রী-বাচ্চাদের নিয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাই সুযোগ মিললে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে নিউইয়র্কে চলে যান দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম বড় তারকা। এবার সেখানে ১৮ দিনের ছুটিতে অবস্থান করছেন।

নিউইয়র্কে থাকার সময়ে বিভিন্নভাবে সময় কাটে তার। সাক্ষাৎ হয় নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গেও। সাকিবের সঙ্গে এবার দেখা করার সুযোগ মিলেছিল জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলকিপার আতিকুল ইসলাম তারেকের। বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের বাসায় গিয়ে এক ঘণ্টার মতো সময় কাটিয়েছেন। তার ব্যবহারে একসময় আবাহনী লিমিটেড-মোহামেডান স্পোর্টিংসহ অন্য দলে খেলা তারেক ভীষণ মুগ্ধ।  

খেলা ছেড়ে বছর দেড়েক আগে তারেক নিজেও নিউইয়র্কে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন সেখানে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সাকিব এবার নিউইয়র্ক এসেছেন শুনে বামহাতি অলরাউন্ডারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেছেন শুধু পুরোনো পরিচয়ের টানে। যে সুযোগটি করে দিয়েছেন তারেকের ফুটবল জীবনে ঘনিষ্ঠ মেহেদী হাসান উজ্জ্বল। যিনি আবার সাকিবের ফুফাত ভাই।

তারেক ও উজ্জ্বল যখন এক সঙ্গে ফুটবল খেলতেন সেসময় দুজনেরই মাগুরায় যাওয়ার সুুযোগ হয়েছিল। উজ্জ্বলদের বাসায় থেকেও খেলেছেন তারেক। তখন থেকেই সাকিবের সঙ্গে টুকটাক পরিচয়। কয়েক দিন আগে নিউইয়র্কে সাকিবের বাসায় দেখা করার সুযোগটা উজ্জ্বলই করে দিয়েছিলেন।

এক ঘণ্টার সাক্ষাতে কী কী কথা হলো? উত্তরে তারেক নিউইয়র্ক থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘সাকিব দেশের বড় তারকা। এখন সংসদ সদস্যও। কিন্তু ওর বাসায় গিয়ে এত দিন পর দেখা, কোনও অহমিকা দেখিনি।  ছোটবেলা থেকে ওকে কম বেশি দেখার সুযোগ হয়েছে।  আগে থেকেই ও একটু রিজার্ভ ছিল। তবে এবার বাসাও গিয়ে বেশ গল্প হলো। আসলে ওর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ।’

সাকিবের বাসায় গিয়ে স্ত্রী শিশিরের বানানো কাবাবও খেয়েছেন তারেক। আরও বলছিলেন, ‘নিউইয়র্কের বাসায় ছিমছাম থাকেন সাকিব। আভিজাত্যের ছোঁয়া কিছুটা কম। আমার সঙ্গে দেশের খেলাসহ অনেক কিছু নিয়েই কথা হয়েছে। পরে আমরা ছবিও তুলেছি।’

খেলোয়াড়ী জীবনের স্মৃতিচারণ করে ৩৯ বছর বয়সী তারেক ফিরে গেলেন পিছনে, ‘বিকেএসপিতে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে ট্রেনিং করতাম, উজ্জ্বল ওর জন্য যা যা দরকার পাশে থেকে সাহায্য করেছে। আমিও ছিলাম ওর সঙ্গে। ও তখন অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট দলে খেলতো। বিকেএসপির কথাও বললাম ওকে। সবমিলিয়ে সাকিবের মধ্যে এবার অন্য এক মনের মানুষ দেখতে পেয়েছি।’

আগামী ৩০ এপ্রিল সাকিবের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আপাতত ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থাকার কথা তার। এছাড়া নিজ নির্বাচনি এলাকা মাগুরা তো আছেই।