টানা দুই ম্যাচ জিতে চার নম্বরে ঢাকা ক্যাপিটালস

বিপিএলে টানা হারের পর সপ্তম ম্যাচে এসে হারের বৃত্ত ভাঙতে পারে ঢাকা ক্যাপিটালস। অষ্টম ম্যাচে হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে এবার পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে শাকিব খানের দল। যদিও টেবিলের নিচে থাকা দলগুলোর চেয়ে বেশ কিছু ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ঢাকার প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা পুরোটাই নির্ভর করছে বাকি দলগুলোর জয় পরাজয়ের ওপর। তবে নিজেদের কাজটা করে রাখতে সবগুলো ম্যাচে জয়ে মনোযোগ দলটির। সেই লক্ষ্যে বুধবার চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।

পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা সবার নিচে ছিল। সর্বশেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতে টেবিলের চারে উঠে এসেছে তারা। ১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ঢাকার পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, ৯ ম্যাচ খেলে চিটাগং কিংস চারটিতে জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর রাইডার্স। রংপুরের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে তামিমের ফরচুন বরিশাল। ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৪৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং কিংস। জবাবে ঢাকার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস ৭৫ রানের জুটি গড়েন। লিটন ২৫ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর জুনিয়র তামিম দ্বিতীয় উইকেটে মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। মুনিম ১৮ বলে ১২ রানে আউট হলেও তামিম ছিলেন অবিচল। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ৫৪ বলে ৩ চার ৭ ছক্কায় তামিম খেলেন ৯০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার সঙ্গে সাব্বির রহমান খেলেন ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস। শেষ দিকে এই দুই ব্যাটারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে ঢাকা।

চিটাগং কিংসের বোলারদের মধ্যে আলিস আল ইসলাম ও হোসেন তালাত প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। স্পিনার আলিসের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচ শুরুর আগে টি স্পোর্টসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সেটা নিশ্চিত করেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়নি তাকে। যদিও বিসিবির কাছে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত বোলিং চালিয়ে যেতে বাধা নেই তার। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাট হাতে চিটাগংয়ের শুরুটা হয় দারুণ। দুই ওপেনার নাঈম ইসলাম ও জুবাইদ আকবরী মিলে গড়েন ৪০ রানের ওপেনিং জুটি। ১৯ বলে ২৩ রান করে জুবাইদ আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর  গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ফের জুটি গড়েন নাঈম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৪৯ রান।দলীয় ৮৯ রানের মাথায় ফেরেন ক্লার্ক। ১৯ বলে ১৮ রান আসে ক্লার্কের ব্যাট থেকে। ক্লার্ক ফিরলেও পরের ব্যাটারদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নাঈম। যদিও ৪৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় নাঈমকে। শেষ দিকে শামীম (১৫), হায়দার আলী (১৬) ও মিঠুনের (১২) ব্যাটিংয়ে কোনও রকমে ১৪৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এছাড়া নাজমুল ইসলাম ২৭ রানে নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা ও রন্সফোর্ড বিটন।