আরও একবার ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। সোমবার চিটাগং কিংসকে হারিয়ে এগারতম আসরের ফাইনালে উঠেছে তামিম ইকবালের দল। আগে ব্যাটিং করা চিটাগং কিংসকে ১৪৯ রানে থামিয়ে বরিশাল ১৬ বল আগেই ৯ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে তারা। কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ঠিক যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমনটা হয়নি। অনেকটাই একপেশে ম্যাচ জিতেছে বরিশাল। মোহাম্মদ আলীর বোলিংয়ের পর তাওহীদ হৃদয়ের ৮২ রানের ইনিংসের উপর ভর করে দারুণ জয় তুলে নেয় বরিশাল। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলা চিটাগং ও খুলনার মধ্যকার জয়ী দলের সাথে ফাইনাল খেলবে তামিমরা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তামিম। বরিশালের পেসার আলীর বোলিংয়ে ১৪৯ রানে অলআউট হয় চিটাগং। ১৫০ রানের জবাবে খেলতে নেমে ওপেনার তামিম ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ২৯ রানে তামিম বিদায় নিলে জুটি ভাঙ্গে তাদের। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তাওহীদ ও ডেভিড মালান মিলে ৯৫ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন। তাওহীদ চলতি বিপিএলে ছিলেন ছন্দহীন। আজকের ম্যাচেই প্রথম পেলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ৫৬ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় তাওহীদ খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। তাওহীদের এই ইনিংস ফাইনালের আগে বরিশালের জন্য স্বস্তির খবর। মালান ২২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশাল ১৭.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
চিটাগংয়ের বোলারদের মধ্যে কমবেশি সবাই ছিলেন নিষ্প্রাণ। খালেদ আহমেদ কেবল একমাত্র উইকেটটি নিতে পেরেছেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের পেসার আলীর রোষানলে পড়ে চিটাগং। পাওয়ার প্লেতে ৩৪ রানে চার উইকেট নিয়ে চিটাগংয়ের ব্যাটিং মেরুদণ্ডটা ভেঙ্গে দেন এই পেসার। তবে চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন মিলে ৫০ বরে ৭৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। পারভেজ ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হতেই জুটি ভাঙ্গে তাদের। শুধু জুটিই নয়, একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। একপ্রান্ত আগলে রেখে কেবল প্রতিরোধ গড়েন শামীম। ছিলেন সেঞ্চুরির খুব কাছেই। ১৭ ওভারে চিটাগংয়ের রান হয়ে গিয়েছিল ৫ উইকেটে ১৩১ রান। শেষ তিন ওভারে আশা করা হচ্ছিল স্কোরবোর্ডে আরও ৩০/৪০ রান উঠবে। ১৮তম ওভারে শামীম এবাদতকে পর পর দুই বলে এক চার এক ছক্কা মেরে সেই সম্ভাবনার কথাই জানান দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে আলীর ৬ বলে শামীমসহ ৪ উইকেট হারায় চিটাগং। ওখানেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত চিটাগংয়ের ইনিংস থামে ১৪৯ রানে। শামীম থামেন ৭৯ রানে। ৪৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই হার্ডহিটার ব্যাটার।
বরিশালের হয়ে আলী ২৪ রানে নেন পাঁচটি উইকেট। চিটাগংকে গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনিই। এছাড়া কাইল মায়ার্স দুটি এবং এবাদত ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।