আইসিসি টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হওয়াতেই এত আলোচনা। দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা দেশটি আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করছে ২৯ বছর পর! সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজকদের অন্যতম ছিল পাকিস্তান। যার ফাইনাল হয়েছিল গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাসনে চলে গিয়েছিল ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে জঙ্গি হামলার পর। তার পর অবশ্য দেশটিতে ক্রিকেট ফিরতে বেশ সময় লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৮ দলের টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বুধবার। শুরুর দিনে মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক পাকিস্তান। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটা সরাসরি দেখাবে টি স্পোর্টস।
অবশ্য আয়োজক হলেও ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের তিনটি নির্ধারিত স্টেডিয়ামে- করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি।
নিরাপত্তা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে থাকায় পাকিস্তান তিনটি ভেন্যুতেই নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা রেখেছে। তাছাড়া টুর্নামেন্ট ঘিরে পাকিস্তানের তিন স্টেডিয়াম- লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ও রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় ধরনের সংস্কার করা হয়েছে।
৮ দলের টুর্নামেন্টে পাকিস্তান অন্যতম ফেভারিট হিসেবে নিজেদের মিশন শুরু করবে। তার ওপর লক্ষ্যটা থাকবে শিরোপা ধরে রাখার। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ভারতকে ফাইনালে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল সরফরাজের দল।
এবারের আসরে পাকিস্তান খেলবে গ্রুপ ‘এ’ তে। তাদের গ্রুপ সঙ্গী নিউজিল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে আছে আফগানিস্তান, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ ছাপিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান উচ্ছ্বসিত প্রায় তিন দশক পর দেশটিতে আইসিসি ইভেন্ট হচ্ছে দেখে। তার কাছে দেশের মানুষের কাছে এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, ‘পাকিস্তানে কোনও গ্লোবাল ইভেন্ট এসেছে ২৯ বছর পর। আমার বিশ্বাস পুরো জাতি এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপন করছে। নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে কোনও সন্দেহে নেই আমার। নিজেদের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করেছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করছি প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলবো। আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের জন্য টুর্নামেন্ট জয়।’