রাকিবের ব্যাটে চার ম্যাচ পর জিতলো পারটেক্স

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে শক্তিশালী দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছিল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর আরও চার ম্যাচ খেললেও সবগুলোতেই হেরেছে তারা। অবশেষে শনিবার অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে হারের বৃত্ত ভেঙেছে পারটেক্স। এদিন আগে ব্যাটিং করে ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ২১৮ রান তুলেছে। জবাবে রাকিবের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে পারটেক্স নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে ১ উইকেটে। ৮০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাকিব।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পারটেক্স ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অগ্রণী ব্যাংককে। আগে ব্যাটিং করে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে তারা। মাঝারি মানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৮ রানে দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও সাব্বির রহমানকে হারায় পারটেক্স। তানভীর ও আদিল মিলে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ১৮ রানের জুটির পর সাজঘরে ফেরেন আদিল (৩২)। এরপর রাকিবকে সঙ্গে নিয়ে তানভীর আরও ৩৫ রান যোগ করে আউট হন। ২৮ বলে ২৫ রান করেন তানভীর। ম্যাচ জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে রাকিবকে। এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। 

শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য পারটেক্সের ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্ত দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ রান। ক্রিজে তখন রাকিব। তিনি দুই চার ও ১ সিঙ্গেলে ৫ বলে তুলে নেন ৯ রান। শেষ বলে সিঙ্গেল নেন আব্দুল গাফফার। তাতেই দারুণ এক জয় তুলে নেয় পারটেক্স।

অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে আরিফ আহমেদ ও নাঈম হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রবিউল হক, মেহেদী হাসান রানা ও তাইবুর রহমান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অগ্রণী ব্যাংকের। ৬৮ রানে দলের টপ অর্ডার চার ব্যাটারকে হারায় তারা। এরপর মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর পারভেজ মিলে দলের হাল ধরেন। তাদের ৫২ রানের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ হলেও লেজের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২১৮ রান করতে পারে অগ্রণী ব্যাংক। সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মার্শালের ব্যাট থেকে। এছাড়া সাদমান ইসলাম ৩১, শুভাগত হোম ২৭ ও মেহেদী হাসান রানা ২২ রান করেন।

পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৪১ রানে শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু ও জাওয়াদ রোহান নেন দুটি করে উইকেট।

এছাড়া সপ্তম রাউন্ডে শনিবার আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেএসপির দুটি ম্যাচই বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টিতে দুই দলই একটি করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। অপর মাঠে হওয়ার কথা ছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচ। আলোকস্বল্পতার কারণে এই ম্যাচটি দুপুর দেড়টার দিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এই ম্যাচেও দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে।