সেইফার্টের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। টিম সেইফার্টের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি। ৮ উইকেটে শেষ ম্যাচ জিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। 

ওয়েলিংটনে ১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার সেইফার্টের বিধ্বংসী ব্যাটিংই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। জাঁহাদাদ খানের প্রথম ওভারে এই ওপেনার নেন ১৮! সঙ্গী ওপেনার ফিন অ্যালেনও ঝড় বইয়ে দেন দ্বিতীয় ওভারে। মোহাম্মদ আলীর ওভার থেকে নেন ১৪ রান। ষষ্ঠ ওভারে জাঁহাদাদ খান আবারও বল করতে এলে আরও বেশি চড়াও হন সেইফার্ট। এবার নেন ২৫ রান। তার মধ্যে ছক্কাই ছিল ৩টি। 

সেইফার্টের বিস্ফোরক ইনিংসে ছক্কা ছিল ১০টি আর চার ৬টি। অ্যালেন ১২ বলে করেছেন ২৭। সপ্তম ওভারে দলীয় ৯৩ রানের সময় আউট হন তিনি। মার্ক চ্যাপম্যান বেশিক্ষণ থিতু হননি। আউট হন মাত্র ৩ রানে। তার পর সেইফার্টের ৩৮ বলে অপরাজিত ৯৭ রানে ভর করে মাত্র ১০ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেলকেও বেশি বল মুখোমুখি হতে হয়নি। ২ রানে অপরাজিত থেকেছেন। 

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করার সময় কিউই বোলিং তোপে সংগ্রাম করেছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে তুলেছে ১২৮ রান। যার কৃতিত্ব মিডল অর্ডারে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা অধিনায়ক সালমান আগা ও শাদাব খানের।

৫২ রানে ৫ উইকেট পতনের পরই মূল প্রতিরোধ গড়ে এই জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন ৫৪। এর আগে প্রথমার্ধে দাপট ছিল কিউই পেস আক্রমণের। তার পর অবশ্য কেউই পেস আক্রমণ সামলে শাদাব ২০ বলে খেলেছেন ২৮ রানের ইনিংস। তাতে ছিল ৫টি বাউন্ডারি। সালমান ৩৯ বলে উপহার দেন ৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ওই দুজনকেই শেষ পর্যন্ত বিদায় দেন জিমি নিশাম। পুরো ইনিংসে আলো ছড়ানো এই পেসার ২২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারের নজির।  

জ্যাকব ডাফি ১৮ রানে নিয়েছেন দুটি। দ্বিতীয় ওভারে তিনি তুলে নেন হাসান নওয়াজের উইকেট। পরের ওভারে নেন ওমাইর ইউসুফকেও। ডাফির সুইং ও সিম মুভমেন্টের সঙ্গে উইল ও’রুর্ক ও বেন সিয়ার্সের বাউন্স সামলাতেও পাকিস্তান হিমশিম খেয়েছে। 

শেষ ম্যাচ হওয়ায় নিউজিল্যন্ড একাদশে জ্যাক ফোকসের বদলে খেলেছেন সিয়ার্স। পাকিস্তান অবশ্য এদিন পাঁচ পরিবর্তন এনে খেলেছে। একাদশে ছিলেন ওমাইর, উসমান খান, জাঁহাদাদ, সুফিয়ান মুকিম ও মোহাম্মদ আলী। 

৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জিমি নিশাম। ২৪৯ রান করে সিরিজ সেরা সেইফার্ট।