লাহোর কালান্দার্সের আগের দুই ম্যাচে রিশাদ হোসেন বল হাতে সাফল্য দেখান। এক সপ্তাহ পর আবার মাঠে নামলো তার দল। মুলতান সুলতান্সের ঘরে আগে বোলিংয়ে নেমে বেশিরভাগ বোলারই খরচের খাতায় নাম লেখান। রিশাদও দিয়েছেন প্রায় অর্ধশতক রান, তবে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতেই ৭৯ রান তোলে মুলতান। ওপেনিং জুটিতে ইয়াসির খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান তাণ্ডব চালান। সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়ে শেষ বলে ছক্কা খান রিশাদ। দেন ১০ রান।
বাংলাদেশের লেগস্পিনার দ্বিতীয় স্পেলে ১২তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন। এবার দেন ১২ রান। এক ওভার বিরতি দিয়ে তারপর টানা দুই ওভারে বোলিং করে রিশাদ দুটি উইকেট পান। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে যথাক্রমে ৫ ও ১৬ রান দেন তিনি।
৮৯ রানে আসিফ আফ্রিদি উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উসমান খান ও ইয়াসির খানকে আলাদা করেন রিশাদ। ৭০ রানের জুটি তিনি ভেঙে দেন উসমানকে (৩৯) আসিফের ক্যাচ বানিয়ে। পরে তার বলে অ্যাস্টন টার্নার (১৫) জামান খানের ক্যাচ হন।
৪ ওভারে দুটি চার ও তিন ছয়ে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ। ৩ ওভারে হারিস রউফের ৫৪ রানের পর সবচেয়ে খরুচে ছিলেন তিনি।
লাহোরের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি, আসিফ ও সিকান্দার রাজা।
লাহোরের টানা তৃতীয় জয়ে লক্ষ্য ২২৯ রানের। ইয়াসিরের ৪৪ বলে ৮৭ রান এবং শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদের ১৮ বলে ৪০ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে মুলতান ২২৮ রান করে। রিজওয়ানের ১৭ বলে ৩২ ও উসমানের ২৪ বলে ৩৯ রানও বড় ভূমিকা রাখে। জবাবে লাহোর ম্যাচটা হেরেছে ৩৩ রানে। রিশাদরা ৯ উইকেটে থামে ১৯৫ রানে।