ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শেষ হতে বেশি দিন বাকি নেই। ২৯ মে লিগের শেষ ম্যাচ। প্রতি বছর ডিসিপ্লিনারি কমিটি আগে গঠন হলেও এবার শেষ মুহূর্তে হয়েছে। সেই কমিটি বুধবারের সভায় বসে একগাদা সিদ্ধান্ত নিলেও বাফুফে তা একদিন পর আজ বিকালে মিডিয়াকে জানিয়েছে। জানা গেছে, একাধিক খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও কোচসহ অনেকেই শাস্তির আওতায় এসেছেন।
বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই এসেছে লিগের সেরা তিন ক্লাব মোহামেডান, আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে। ২ মে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বসুন্ধরা ও আবাহনীর ম্যাচে হয়েছিল গন্ডগোল। সে ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি অশোভন অঙ্গভঙ্গি করায় তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ণ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে সব খেলা থেকে নিষিদ্ধ বা বিরত থাকতে হবে।
ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা দেওয়াসহ অন্যান্য কারণে কারণ দর্শাও নোটিশ পেয়েছেন। তিনিও পূর্ণ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সব ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন। একই দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও আবাহনীর শাহীন আহমেদ দুই ম্যাচ সাসপেন্ড হয়েছেন। কিংসের ম্যানেজার ওয়াসিমুজ্জামানকে রেফারির অনুমতি না নিয়ে মাঠে ঢোকার কারণে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আবাহনী ও কিংসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সমর্থকদের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটায় কেন লিগের পরের ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে না, এ মর্মে বাফুফে সচিবালয়কে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। ১২ এপ্রিলের ম্যাচে মোহামেডানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের সমর্থক আওলাদ হোসেনকে এক বছর নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হচ্ছে।
ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।