ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে আইপিএলের ভবিষ্যৎ কী?

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। ইতোমধ্যে ধর্মশালা থেকে আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ। এই মাঠেই বৃহস্পতিবারের পাঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ শুরু করলেও শেষ করা যায়নি। ফ্লাডলাইট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে নিরাপত্তা শঙ্কায় অন্ধকারে নিমজ্জিত স্টেডিয়াম ফাঁকা করে ফেলা হয়। ম্যাচও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দুই দেশের সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, এই আসরের ভবিষ্যৎ কী, তা এখনও অজানা আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালের।

শুক্রবার লখনউতে স্বাগতিক লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচ মাঠে গড়াবে কি না প্রশ্নে ধুমাল বললেন, ‘হ্যাঁ, এখন পর্যন্ত হবে। কিন্তু পরিস্থিতি খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সব পক্ষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাবের ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বল হতেই ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে খেলা বন্ধ হয়। এরপর ধুমাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এখনকার পরিস্থিতি ক্রমবর্ধমান। সরকারের কাছ থেকে আমরা এখনও নির্দেশনা পাইনি। অবশ্যই সবার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ধর্মশালার একমাত্র বিমানবন্দরসহ নিকটস্থ কাংড়া ও চন্ডীগড় বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদেরকে শহরের ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠানকোট থেকে ট্রেনে করে দিল্লিতে নেওয়ার কথা। 

আইপিএলে লিগের আরও ১২ ম্যাচ বাকি আছে। প্লে অফ ও ফাইনালসহ বাকি আসর কতটা নির্বিঘ্নে শেষ করা যায়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।