সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং, বোলিং সব বিভাগেই দারুণ ক্রিকেট খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এই সিরিজে ২০০ উইকেট আর ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। মিরপুর শেরে বাংলায় মঙ্গলবার সেটার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। পুরস্কার নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, টেস্ট অলরাউন্ডার হিসেবে নম্বর ওয়ান হতে চান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমকে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই খুবই ভালো লাগার বিষয়। (অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে) এক নম্বরে আসতে পারলে আরও ভালো লাগবে। বিসিএসএ-র ভাইয়েরা সবসময় মাঠে আমাদের সমর্থন করে। আমি সবসময় দেখি। দেশের বাইরেও যখন যাই, তখনও সমর্থন করে। টেস্টে ২ হাজার রান ও ২০০ রান করায় আজকে আমাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য এসেছে। খুবই ভালো লেগেছে। তারা সবসময় পেছন থেকে আমাদের সমর্থন করে।’
২০১৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ৯ বছর মিরাজ খেলেছেন ৫৩ টেস্ট। এই ফরম্যাটে ২ সেঞ্চুরি ও ৯ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ২ হাজার ৬৮ রান। বোলিংয়ে নিয়েছেন ২০৫ উইকেট। টেস্টে ৪০০ উইকেট ও ৫ হাজার রানের এলিট ক্লাব ছোঁয়ার লক্ষ্য মিরাজের। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘অবশ্যই লক্ষ্য থাকে অনেক ওপরে যাওয়ার। অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। ফিট থেকে ভালো খেলতে হবে। তবে সেভাবে বিশাল (৪০০ উইকেট ও ৫ হাজার রান) চিন্তা করছি না। ছোট ছোট লক্ষ্যে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনার ৭১ ম্যাচে নিয়েছেন ২৪৬ উইকেট। ২২৮ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে আছেন তাইজুল ইসলাম। ২০৫ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে আছেন মিরাজ। বাংলাদেশের জার্সিতে যেকোনও লক্ষ্য অর্জন স্পর্শ করতে পারা মিরাজের জন্য বিশেষ কিছু, ‘এমন মাইলফলক (টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি) হলে তো ভালোই লাগবে। যেকোনও সংস্করণই হোক, বাংলাদেশের জন্য অর্জন করতে পারলে তা অনেক ভালো লাগার ব্যাপার।’
আন্দ্রে অ্যাডামসের সঙ্গে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল বাংলাদেশের। তার আগেই নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার শন টেইট। তিনি বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। নতুন কোচের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘বিপিএলে চট্টগ্রামের অধিনায়ক থাকার সময় আমি শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার মনে হয়, ওর সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল। মানুষ হিসেবে অনেক ভালো। অনেক দয়ালু ও সাহায্যপরায়ন। আমার মনে হয়, এরকম কোচ থাকা ভালো দলের জন্য। আমি নিজেও ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ক্রিকেটারদের অনেক সহযোগিতা করে। নিজেও যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে, ও জানে এখানে কীভাবে কী করতে হবে। তাই আমার মনে হয়, ওকে কোচ হিসেবে ঠিক করা আমাদের দলের জন্য ইতিবাচক দিক।’