আকবরের সেঞ্চুরির পরও হারলো বাংলাদেশ

রাজশাহীতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয় দিয়ে শুরু করেছিলো বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দল। আজ বুধবার জিতলেই এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলতো আকবর আলীর দল। তবে সেটি হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং ক্রিকেট দল। বুধবার ১০ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতা।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া প্রোটিয়ারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩২ রান তোলে। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহফিজুর ইসলাম রবিন (১০) ও তিন নম্বরে নামা রায়হান রাফসান (৯)। তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে আউট হন জিসান। তার আগে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন তিসিন। ৩৪ বলে ৫ চারে খেলেন বিস্ফোরক ৫০ রানের ইনিংস। এরপর একাই লড়েছেন আকবর আলী। ৪৫ ওভার পর্যন্ত দলকে চালকের আসনে রাখেন তিনি। তবে নিজে আউট হতেই চিত্রনাট্য বদলে যায়। ৪৯.৪ ওভারে ৩২২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আকবর করেছেন সেঞ্চুরি। ১১০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। যদিও তার সেঞ্চুরি বৃথা গিয়েছে। এর বাইরে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। লেজের ব্যাটারতের মধ্যে কেউ অবদান রাখতে না পারায় ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে অ্যান্ডিল সিমেলেন সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। নিকোবানি মোকোয়েনা তিনটি ও শেপো এনটুলি নেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। যদিও কাউকেই সেঞ্চুরি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৯৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডায়ান ফরেস্ট। মূলত তার ৫৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় খেলা ৯৬ রানের ইনিংসের কারণেই ৩৩২ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর বাইরে কনর বয়েড এস্টারহুইজেন খেলেন ৯১ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে মারুফ মৃধার শিকার হন প্রোটিয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি ৬৮ বরে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান। এই দুই ব্যাটার ছাড়াও হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন অ্যান্ডিল চার্লস। খেলেছেন ৬৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ পায় তারা।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে রিপন মন্ডল, মারুফ মৃধা ও মাহফিজুর রহমান রাব্বি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন। রিজওয়ান নেন একটি উইকেট।