মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসি যে ছন্দে আছেন। এমনটা করে দেখাতে পারেননি আর কেউ! নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপিক্ষে জোড়া গোল করেছেন। তার জোড়া গোলে দলটাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। তাতে টানা ৪ এমএলএস ম্যাচের প্রতিটিতে জোড়া গোলের অনন্য কীর্তি গড়েছেন তিনি।
তার এই ছন্দের শুরু মে মাসের শেষ দিকে। মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয়ের দিনে জোড়া গোল করেছিলেন। তার পর কলম্বাসের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়েও করেন জোড়া গোল। এর পর ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার জন্য মাঝে চলে বিরতি। সেখানে মেসি ৪ ম্যাচে গোল করেছেন একটি। তারা আবার শেষ ষোলোতে ছিটকেও গেছে।
হাভিয়ের মাসচেরানোর দল মেজর লিগ সকারে ফেরেন গত শনিবার। সেদিন মন্ট্রিয়লকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্তের দিনে জোড়া গোল করেন ৮ বারের ব্যালন ডি অ’র জয়ী।
সব মিলে ১৫ এমএলএস ম্যাচে মেসির গোল এখন ১৪। শীর্ষ স্কোরারার স্যাম সারিজের চেয়ে দুই গোল পিছিয়ে আছেন। এই মৌসুমে মেসির চেয়ে তিনি ন্যাশভিলের হয়ে আরও ৬টি ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
জিলেট স্টেডিয়ামে মেসি সর্বশেষ ম্যাচে দলকে এগিয়ে দেন ২৭ মিনিটে। মূলত রেভল্যুশনের ভুলের সুযোগটা লুফে নেন তিনি। বাম পায়ের শটে অগ্রগামিতা এনে দেন। আর্জেন্টাইন তারকা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ১১ মিনিট বাদে। সের্হিও বুসকেৎজের লং থ্রু বল ধরে বাম পায়ে এমন শট নেন যে সেটা প্রতিপক্ষের স্লোভেনিয়ান গোলকিপার আয়ত্ত্বেই নিতে পারেননি।
মায়ামি গোলকিপার অস্কার উস্তারিকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। ৬টি সেভ করে দলকে বিপদমুক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। ৭৯ মিনিটে অবশ্য একটি গোল শোধ দেয় রেভল্যুশন। গোল করেন স্প্যানিয়ার্ড কার্লেস গিল।
এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ষষ্ঠস্থান থেকে পাঁচে উঠেছে মায়ামি। তাদের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে পিছিয়ে ৭ পয়েন্টে। মায়ামি আবার ক্লাব বিশ্বকাপের বিরতির জন্য তিন ম্যাচ কম খেলেছে।