ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য পাঁচ মেন্টর নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শোয়েব মালিক। দুই সপ্তাহ আগে সেই পদ ছেড়েছেন তিনি। এখন শুধু চুক্তিভিত্তিক অন্য দায়িত্বগুলো পালন করবেন।
শোয়েব মালিকের কথাতেই জানা গেছে, বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। নিজের দায়িত্বগুলো নিয়ে ভাবার পর বুঝলাম, একসঙ্গে এত কিছু সামলাতে গেলে আমি আমার সেরাটা দিতে পারবো না- পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্যও না, আমার অন্যান্য পেশাগত ও ব্যক্তিগত অগ্রাধিকারগুলোর জন্যও না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সব পক্ষের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে তাই বিশ্বাস করি সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রতিভাবান কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যা চিরকাল মনে রাখবো।’
মালিকের পদত্যাগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন সব মেন্টরের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন চলমান। তার পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসার দিনেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে পিসিবি তাদের পাঁচ মেন্টরকেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তারা গত বছরের নজিরবিহীন ব্যস্ত ঘরোয়া মৌসুমের পরিধি কমিয়ে আনতে চায়।
অবশ্য পিসিবির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বোর্ড চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ইএসপিএনক্রিকইনফো অন্য তিন মেন্টরের সঙ্গেও কথা বলেছেন। যারা প্রত্যেকে জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত নিজেদের ভূমিকায় কোন পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। পাঁচ মেন্টরই ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। মালিক বাদে বাকি চারজন হলেন-মিসবাহ উল হক, সাকলায়েন মুশতাক, সরফরাজ আহমেদ ও ওয়াকার ইউনুস।
গত বছরের আগস্টে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে তাদের আর্থিক সম্মানী সংক্রান্ত তথ্য বাইরে আসার পর। জানা যায়, পাঁচজনকেই মাসে আনুমানিক ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপিতে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। যার ফলে এই বেতন কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তাছাড়া তাদের কাজের ধরণও অস্পষ্ট। ফলে তাদের প্রকৃত দায়িত্ব কী সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়।