আইপিএলে সর্বশেষ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গুজরাট টাইটান্সের জয়ে প্লে-অফে নিশ্চিত করেছে তিনটি দল। তারা হলো- গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। এখন একটি জায়গার জন্য লড়াইয়ে আছে তিনটি দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস।
দেখা যাক চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে কার সম্ভাবনা কতটুকু-
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (অবস্থান চতুর্থ, ১৪ পয়েন্ট, রানরেট +১.১৫৬)
প্লে-অফের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মুম্বাই। ২১ মে তাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি, ২৬ মে পাঞ্জাব। দুই ম্যাচে জিতলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা নিশ্চিত করবে প্লে-অফ। একটি জয়, বিশেষ করে দিল্লির বিপক্ষে জিতলেও সেটা নিশ্চিত হতে পারে।
অপর দিকে দুটি হারলেই বিদায় নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে দিল্লির কাছে পরাজয় তাদের ভীষণ ক্ষতির মুখে ফেলবে। তখন হেড-টু হেডে এগিয়ে যাবে দিল্লি। তাই ২১ মের লড়াইকে বলা হচ্ছে নকআউট।
দিল্লি ক্যাপিটালস (অবস্থান পঞ্চম, ১৩ পয়েন্ট, রানরেট +০.২৬০)
গুজরাটের কাছে বড় পরাজয় দিল্লির নেট রানরেটে প্রভাব ফেলেছে। তাদের এখন বাকি ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে। দুটি ম্যাচে প্রতিপক্ষ মুম্বাই ও পাঞ্জাব। যদি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জেতে এবং পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায়, তখন আশায় থাকতে হবে মুম্বাই যেন অবশ্যই পাঞ্জাবের কাছে পরাজিত হয়। পাশাপাশি পয়েন্ট হারাতে হবে লখনউকেও। মুম্বাইয়ের কাছে হারলে তখন সব সমীকরণ শেষ হয়ে যাবে, বিদায় নেবে তারা।
লখনউ সুপার জায়ান্টস (অবস্থান সপ্তম, ১০ পয়েন্ট, রানরেট -০.৪৬৯)
বলা যায় প্লে-অফের লড়াইয়ে লখনউ হচ্ছে বহিরাগত! তাদের ম্যাচ বাকি তিনটি। প্রতিপক্ষ- সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (১৯ মে), গুজরাট টাইটান্স (২২ মে) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২৭ মে)। তাদের সবগুলো ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। কম রানরেটের মানে দাঁড়ায় শুধু জিতলেই হবে না, একটি ম্যাচে অন্তত দাপুটে পারফরম্যান্সে রানরেটে উন্নতিও করতে হবে । তার পর তাদের আশায় থাকতে হবে মুম্বাই এবং দিল্লি যেন তাদের ম্যাচগুলোতে পরাজয়ের মুখে পড়ে! এক কথায় জটিল সব সমীকরণের মুখে লখনউ।