শেষ ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে আমিরাতের ইতিহাস

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৯.৫ ওভারে ২০৬/৮ (জোহাইব ৩৮, ওয়াসিম ৮২, রাহুল ২, আসিফ ১৯, আলিশান ১৩, সগীর ৮, আরিয়ানশ ৭, ধ্রুব ১১, হায়দার ১৫*, মতিউল্লাহ ১*; শরিফুল ২/৩৪, নাহিদ ২/৫০, রিশাদ ২/২৮)

বাংলাদেশ ২০ ওভারে ২০৫/৫ (তানজীদ ৫৯, লিটন ৪০, শান্ত ২৭, হৃদয় ৪৫, জাকের ১৮, শামীম ৬*, রিশাদ ২*; জাওয়াদুল্লাহ ৩/৪৫, সগীর ২/৩৬)

ফল: আমিরাত ২ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: মুহাম্মদ ওয়াসিম ৮২ (৪২)।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোনও দল দুইশর বেশি রান তাড়া করে সফল হয়নি। তাতে বাংলাদেশ তাদের ইনিংস শেষে হয়তো স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু হিসাব নিকাশ পাল্টে গেলো স্বাগতিকদের শতাধিক রানের ওপেনিং জুটিতে। বাংলাদেশের বোলারদের খরুচে বোলিংয়ে রেকর্ড গড়ে জিতলো আমিরাত।

বাংলাদেশের করা ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে মুহাম্মদ ওয়াসিমের ব্যাটে লম্বা সময় ধরে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মুহাম্মদ জোহাইবের সঙ্গে ১০৭ রানের ওপেনিং জুটি শক্ত ভিত গড়ে দেয়। ১৫তম ওভারে এই অধিনায়ককে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু করেন শরিফুল ইসলাম। তারপর নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন তাদের পরবর্তী তিন ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন। তাতে শেষ দুই ওভারে স্বাগতিকদের প্রয়োজন বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ রানে।

১৯তম ওভারে শরিফুল প্রথম বলে উইকেট তুলে নিলে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঝুলে যায়। মাথা চাপড়াতে থাকেন ওয়াসিম। ২ উইকেটে ১৪৮ রান করা আমিরাতের স্কোর ১৮.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। শেষের আগের ওভারে ধ্রুব পরাশর ও হায়দার আলী চার-ছয় মারেন। পঞ্চম বলে ওভার থ্রো থেকে পাঁচ রান নেয় স্বাগতিকরা। তাতে শেষ ওভারে প্রয়োজন কমে দাঁড়ায় ১২ রানের। অন্য বোলারদের কোটা শেষ হওয়ায় কেবল হাতে ছিলেন তিন ওভারে ৪৩ রান দেওয়া তানজিম সাকিব। প্রাযশ্চিত্ত করতে পারেননি। প্রথম ডেলিভারিতে দেন ওয়াইড। মাঝে উইকেট নিলেও নো বল দিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করেন এই পেসার। এক বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আমিরাত। ২ উইকেটে জিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে তারা।   

তানজিম ৩.৫ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার। নাহিদ তার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

সিরিজ ১-১ এ সমতায়। বুধবার হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।

শেষ ওভারে ১২ রান দরকার আমিরাতের, ব্যর্থ তানজিম

শরিফুল ইসলামের শেষ ওভারে মিসফিল্ডিংয়ে রান বের করে নেয় আমিরাত। ১৯তম ওভারে প্রথম বলে তিনি উইকেট নিলেও তৃতীয় ও পঞ্চম বলে চার ও ছক্কা হজম করেন। শেষ বলে থ্রো ধরতে না পেরে পাঁচ রান দেন তিনি। তাতে শেষ ওভারে ১২ রান দরকার আমিরাতের। প্রথম তিন ওভারে ৪৩ রান দেওয়া তানজিম হাসান সাকিবেরই কেবল এক ওভার বাকি ছিল। প্রথম ডেলিভারিতে ওয়াইড দেন তিনি। বৈধ ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন ধ্রুব পরাশর। তৃতীয় বলে তাকে ১১ রানে বোল্ড করেন তানজিম।পরের বলে সিঙ্গেল নেন মতিউল্লাহ। শেষ ২ বলে লাগে ৩ রান। নো বল দেন তানজিম। পঞ্চম বলে ডাবলস নিয়ে ম্যাচ জেতান হায়দার। 

৯ বলে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ

১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ভয় ধরান সগীর খান। পরের বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ হন তিনি। ৩ বলে ৮ রান করেন এই ব্যাটার। পরের ওভারে নতুন ব্যাটার আরিয়ানশ শর্মা প্রথম বলে ছয় মারেন। তাকে এক বল বাদেই ফেরালেন নাহিদ রানা। ৫ বলে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ। ১৭৭ রানে নেই ৬ উইকেট। রিশাদ ও নাহিদের ওই দুই ওভারে চাপে পড়ে আমিরাত। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ রানে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে শরিফুল আউটকরেন আলিশান শারাফুকে। তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ হয়ে শেষ হয় তার ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস। 

ওয়াসিমকে ফিরিয়ে শরিফুলের ব্রেকথ্রু

বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ‍মুহাম্মদ ওয়াসিম। শরিফুল ইসলামকে বোলিংয়ে এনে স্বস্তি ফেরালো বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে আমিরাত অধিনায়ককে জাকের আলীর ক্যাচ বানান তিনি। ৪২ বলে ৯ চার ও ৫ ছয়ে ৮২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে আউট হন ওয়াসিম। দলের রান তখন ১৪৮।

তানভীরের পর রিশাদের আঘাত, তবু ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

১০ ওভারে ওপেনিং জুটির ১০৭ রান। স্বস্তিতে থেকে পানি পানের বিরতিতে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু ফের ক্রিজে নেমে ভেঙে যায় তাদের জুটি। ১০.১ ওভারে মুহাম্মদ জোহাইবকে তানজীদ হাসান তামিমের ক্যাচ বানান তানভীর ইসলাম। ৩৪ বলে ৩৮ রান করে থামেন আমিরাত ওপেনার। পরের ওভারে রিশাদ হোসেন প্রথম বলে রাহুল চোপড়াকে ২ রানে নিজের শিকার বানান। ১১০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো আমিরাত।

তবুও চালকের আসনে স্বাগতিকরা। ১৪তম ওভারে ২০ রান তুলেছে ওয়াসিম ও আসিফ খানের জুটি। আগের ওভারে তানভীর দেন ১২ রান।

আমিরাত অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ওপেনারের কাছে বিবর্ণ বাংলাদেশের বোলিং। নবম ওভারে নাহিদ রানাকে চার মেরে ২৫ বলে টানা দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর একশ পার করেন তিনি। 

পাওয়ার প্লেতে আমিরাতকে ৬৮ রান দিলো বাংলাদেশ

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরালেন মুহাম্মদ ওয়াসিম ও মুহাম্মদ জোহাইব। দুজনের ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্রেতে ৬৮ রান তুলেছে স্বাগতিক আমিরাত। জোহাইব ৩০ ও ওয়াসিম করেন ৩২ রান। এই সময়ে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি ১৮ রান দেন নাহিদ রানা। পঞ্চম ওভারে খরুচে ছিলেন অভিষিক্ত পেসার। তানজিম হাসান সাকিব ২ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান।

প্রথম বলেই ক্যাচ ছাড়লেন শান্ত, আমিরাতের ওপেনিং জুটির ফিফটি

নাজমুল হোসেন শান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে তিনটি ক্যাচ নিয়েছিলেন। বদলি ফিল্ডার হিসেবে দারুণ ফিল্ডিংয়ে ওই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু একাদশে জায়গা পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরাতের ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ নিতে পারলেন না তিনি।

শরিফুল ইসলামের প্রথম বলে ক্যাচ ছেড়ে দিলেন শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোহাম্মদ জোহাইবের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপের দিকে ছোটে। লাফিয়ে উঠেও শান্ত বল হাতে জমাতে পারেননি। জীবন পাওয়ার ওই বলে বাউন্ডারি পেয়ে যান জোহাইব। তার সঙ্গে মুহাম্মদ ওয়াসিমের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশের সামনে প্রতিরোধ গড়েছে। ২৯ বলে ফিফটি ছাড়িয়েছে তাদের জুটি।

আমিরাতকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

তানজীদ হাসান তামিমের আগ্রাসী সূচনায় বাংলাদেশের বড় স্কোরের ভিত তৈরি হয়। তা বাস্তবে রূপ নেয় নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর ক্যামিও ইনিংসে। লিটন দাস তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করলেও সংগ্রাম করেছেন। তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ২০৬ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে।

শামীমের বাউন্ডারিতে দুইশ ছাড়ালো

চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর ১৩ বলে ৩৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশ প্রায় দুইশর কাছে পৌঁছায়। জাকের ১৯তম ওভারে প্রথম তিন বলে ১ চার ২ ছয়  মারেন। চতুর্থ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর শিকার হন তিনি। তারপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী চার মেরে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে সগীর খানের দ্বিতীয় শিকার হন হৃদয়। ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।  

২৭ রানে শান্তর বিদায়

১৭তম ওভারে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লার চতুর্থ বলে ধ্রুব পরাশরের ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রান করেন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৫ বলে ৩৮ রানের। ১৬৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

৪০ রানে আউট লিটন

হাফ সেঞ্চুরির প্রত্যাশা জাগালেও পূরণ করতে পারলেন না লিটন দাস। ১৩তম ওভারে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেটে সগীর খানের সহজ ক্যাচ হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ২০ বলে ৩৫ রানের। ১২৫ রানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারালো। শান্তর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।

শান্তর ছক্কায় ৬১ বলে বাংলাদেশের একশ

পারভেজ হোসেন ইমনের জায়গায় নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। সাবেক অধিনায়ক ১১তম ওভারের প্রথম বলে ধ্রুব পরাশরকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে একশর ঘরে নেন। ৬১ বলে দলীয় স্কোরের সেঞ্চুরি হলো।

৯০ রানের জুটিতে ৫৯ রান করে থামলেন তানজীদ

অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে সগীর খান তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বড় উইকেট পেলেন। আমিরাতি বোলারের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মতিউল্লাহ খানের ক্যাচ হলেন তানজীদ হাসান তামিম। ৩৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৫৯ রান করেন তিনি। সগীরের প্রথম টি-টোয়েন্টি শিকার হওয়ার আগে লিটন দাসের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়েন তানজীদ।

পাওয়ার প্লেতেই ছক্কা মেরে তানজীদের ফিফটি

আগের ম্যাচে দারুণ শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজীদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড়ো শুরু ধরে রেখে ২৫ বলে করলেন হাফ সেঞ্চুরি। হায়দার আলীর ওভারে টানা চার ও ছয় মেরে পঞ্চাশ ছোঁন বাংলাদেশি ওপেনার। সাত চার ও তিন ছয়ে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। তার ব্যাটে বিনা উইকেটে পাওয়ার প্লেতে সফরকারীদের রান ৬৬।

তানজীদের ব্যাটে আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ, জীবন পেলেন লিটন

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগ্রাসী শুরু করলেন তানজীদ হাসান তামিম। মতিউল্রাহ খানকে প্রথম ওভারের শেষ তিন বলে ছয় ও দুটি চার মেরে ১৭ রান তোলেন বাংলাদেশের ওপেনার। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী অধিনায়ক লিটন দাস। ৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩৬ রান।

তৃতীয় ওভারে ১৩ রান আসে ওপেনিং জুটিতে। ধ্রুব পরাশরের ওই ওভারে তিন বলে দুটি চার মারা লিটন শেষ বলে জাওয়াদুল্লাহর হাত ফসকে জীবন পান। তখন তার রান ছিল ১০।

নাহিদের অভিষেক

৭ টেস্ট ও ৪ ওয়ানডে খেলা নাহিদ রানার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হলো। বাংলাদেশের পেসার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ খেলেছেন। তার শিকার ১৪ উইকেট। বিপিএলের সবশেষ আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

গত বছরের মার্চে টেস্ট, তারপর নভেম্বরে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় নাহিদের। এবার টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৯১তম ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখলেন ২২ বছর বয়সী গতি তারকা।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, ইমনকে বাদ দিয়ে একাদশে শান্ত

শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টসে হেরেছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের ব্যাটিংযে পাঠিয়েছে। বিস্ময়করভাবে আগের ম্যাচের সেরা পারফর্মার পারভেজ হোসেন ইমনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলে ঢুকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আইপিএল খেলতে ভারতে গেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় এসেছেন শরিফুল ইসলাম।

সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ: মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, মুহাম্মদ জোহাইব, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মতিউল্লাহ খান, সাগির খান।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজীদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, নাহিদ রানা।

সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সোমবার জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে। দুই ম্যাচের সিরিজ হতে পারে তিন ম্যাচের। যদিও এই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তৃতীয় ম্যাচটি হোক বা না হোক, আজ জিতে গেলে সিরিজ জয় নিয়ে আর কোন সংশয় থাকবে না। তবে আরও একটি ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে এক পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই পাকিস্তান সিরিজের আগে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে আরও একটি সুযোগ নিজেদের প্রস্তুত করার।

শারজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় দুই দলের ক্রিকেট লড়াই শুরু হবে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস