গুজরাটকে হারিয়ে আইপিএল শেষ করলো চেন্নাই

প্লে অফের আগে টানা দুটি ম্যাচ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো গুজরাট টাইটান্সের। নিজেদের খেলা তিন আসর মিলিয়ে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরে লিগ পর্ব শেষ করলো তারা। আর দুঃস্বপ্নের মৌসুম চেন্নাই সুপার কিংস শেষ করলো দুর্দান্ত জয় দিয়ে।

আগে ব্যাট করে ডেভিড কনওয়ে ও ডেভাল্ড ব্রেভিসের হাফ সেঞ্চুরিতে চেন্নাই ৫ উইকেটে ২৩০ রান করে। বড় রান তাড়া করতে নেমে দেড়শও করতে পারেনি গুজরাট। ১৮.৩ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট তারা।

৮৩ রানের এই জয়েও চেন্নাইকে শেষ দল হিসেবে আইপিএল শেষ করতে হয়েছে। গুজরাট লিগ পর্ব শেষ করেছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে। কিন্তু তাদের টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে প্লে অফের টিকিট কাটা বাকি তিন দলেরই। এক ম্যাচ কম খেলে ১৭ পয়েন্ট করে নিয়ে দুই ও তিনে পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে দলে স্থলাভিষিক্ত আয়ুশ মাত্রে, উর্ভিল প্যাটেল ও ব্রেভিস শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন। আশা জাগালেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।

চেন্নাইয়ের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ১৭ বছর বয়সী মাত্রে (৩৪) ও স্থানীয় ক্রিকেটার উর্ভিল (৩৭) ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে শক্ত ভিত তৈরি করেন। তারপর শেষটা করে আসেন ব্রেভিস। আহমেদাবাদে বিকালটা রাঙিয়ে দেন তিনি ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে। তার আগে কনওয়ের হাফ সেঞ্চুরি চলমান আইপিএলে চেন্নাইকে সর্বোচ্চ সংগ্রহে বড় অবদান রাখে। 

মাঝের ওভারে রশিদ খানের ১০ বলে ২১ রান নিয়ে তাকে হতাশ করেন কনওয়ে। তবে এই লেগস্পিনারের শিকার হতে হয়েছে তাকে ৩৫ বলে ৫২ রান করে।

ডেথ ওভারে ব্রেভিস বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন। ২৩ বলের ৯টিতেই বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ইনিংসর শেষ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছয়ে ৫৭ রান করে আউট হন। রবীন্দ্র জাদেজা ১৮ বলে ২১ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন।

অন্য বোলারদের অসহায়ত্বের দিনে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন। ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেটও নেন তিনি।

লক্ষ্যে নেমে আনশুল কম্বোজ ও নুর আহমেদের বোলিংয়ে ছন্নছাড়া গুজরাট।

সাই সুদর্শনের ৪১ রানের পর সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আরশাদ খান। টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে গুজরাট অধিনায়ক শুবমান গিল করেছেন ৯ বলে ১৩ রান। দেখতে হলো হারও।

আনশুল ও নুর সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।