কিংয়ের ৭৫ রানের পর সিলসের আঘাতে চাপে অস্ট্রেলিয়া

গ্রেনাডায় দ্বিতীয় দিনের নাটকীয় সমাপ্তি। প্রথম ইনিংসে ব্যবধান ৩৩ এ কমানোর পর জেইডেন সিলস দুই ওপেনারকে আউট করলে অস্ট্রেলিয়াকে বড় চাপে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও সাফল্য ভাগাভাগি করেছে। কিন্তু ব্র্যান্ডন কিংয়ের প্রথম টেস্ট ফিফটি এবং লোয়ার অর্ডারের প্রতিরোধে অজিদের ২৮৬ রানের প্রথম ইনিংসের বেশ কাছে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা। তারপর সফরকারীদের টপ অর্ডারে ভাঙন ধরিয়ে চাপে ফেলেছে তারা।

প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ২৫৩ রান। দিন শেষ হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া ৩৫ মিনিটে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। স্যাম কনস্টাস সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ওভারে সিলসের বলে বোল্ড তিনি।

নতুন বলের বিরুদ্ধে লড়াই অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। ক্যামেরন গ্রিন প্রথম বলে মুখোমুখি হয়েই অল্পের জন্য বেঁচে যান। ব্যাটের গোড়ায় লেগে স্লিপে ফিল্ডারের নাগালের একটু সামনে পড়ে বল। উসমান খাজাও ভুগেছেন। তবে সিলস তার পরের ওভারে এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন।

গ্রিন ও নাইটওয়াচার নাথান লায়ন দিনের শেষ দিকে বোলারের বাউন্সারে হাতে আঘাত পান। তবে দিন শেষ করে আসতে পেরেছেন তারা, যদিও অস্ট্রেলিয়া বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। ২ উইকেটে ১২ রান তাদের, লিড মাত্র ৪৫ রানের।

নতুন দিনে প্রথম ইনিংসের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট তার শততম টেস্টে ডাক মারেন জশ হ্যাজেলউডকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। তারপর কিসি কার্টিকে নিজেই বল করে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে থামান প্যাট কামিন্স। টেস্ট ইতিহাসে অষ্টমবার একটি ইনিংসে প্রথম দুটি উইকেট পড়লো ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।

জন ক্যাম্পবেল আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৪০ রান করে বেউ ওয়েবস্টারের শিকার হন মিড অনে মিচেল স্টার্ককে ক্যাচ দিয়ে। কিং ও অধিনায়ক রোস্টন চেজের জুটিতে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা। ওই সেশনের শেষ ওভারে নাথান লায়নকে দুটি বাউন্ডারি মারেন কিং।

তবে বিরতির পর প্রথম ওভারে হ্যাজেলউড চেজকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। রিভিউ কাজে লাগিয়ে ৪৭ রানের জুটি ভেঙেছে অজিরা।

এরপর শাই হোপকে নিয়ে কিং আরেকটি কার্যকরী জুটি গড়েন। দুজনে মিলে ৫৮ রান তোলেন স্কোরবোর্ডে। টানা দুই ওভারে থিতু এই ব্যাটাররা মাঠ ছাড়েন। হোপ ২১ রান করেন। কিংয়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ১০৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো।

জাস্টিন গ্রিভস দলীয় ১৭৪ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন। তারপর আলজারি জোসেফ ও শামার জোসেফের ৫১ রানের মারমুখী জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। আলজারি ২৭ ও শামার ২৯ রানে থামেন। শেষ জুটিতে সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ ১০ ওভার টিকে গেলে আরও কিছু রান যোগ হয়। দিনের তৃতীয় ফিরতি ক্যাচ নিয়ে উইন্ডিজের ইনিংস শেষ করেন ট্রাভিস হেড।