লঙ্কানদের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের হাতছানি

টানা হারের বৃত্ত ভেঙেছে বাংলাদেশ। এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের মিশন। এর আগে নিজেদের মাটিতে দুটি (২০২১ ও ২০২৪) সিরিজ জয়ের ইতিহাস থাকলেও লঙ্কানদের মাটিতে সেই সুযোগ হয়নি। আজ মঙ্গলবার সেই বিরল সুযোগ তাদের সামনে, জিতলেই মেহেদী হাসান মিরাজদের গড়া হবে নতুন কীর্তি। শ্রীলঙ্কায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে লঙ্কাজয়ের সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় মোটে দুটি! ড্র হয়েছে দুটি সিরিজ। আর বাকি ছয়টি সিরিজ জিতেছে লঙ্কানরা। তবে এখনও শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোনও ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। এবার সেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ।

লঙ্কানদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ না জিতলেও এখন অব্দি বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে জিতেছে। প্রথম জিতেছিল ২০১৩ সালে পাল্লেকেল্লেতে। পরেরটা ২০১৭ সালে ডাম্বুলায়। আর সর্বশেষটি কলম্বোতে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। বাংলাদেশ দল যে ভেন্যুতে লঙ্কানদের প্রথমবার হারিয়েছিল, সেই ভেন্যুতেই আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে মিরাজরা। এবার তাদের মিশন সিরিজ জয়ের।
 
পাল্লেকেলেতে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা পারভেজ হোসেন ইমনকে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাল। তরুণ ওপেনার বলেছেন, ‘আমাদের একটা বড় সুযোগ। এই ম্যাচ জিতলে ইনশাহআল্লাহ ভালো একটা সিরিজ জিততে পারবো। গত ম্যাচ জেতার পরে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। সবাই হাসি খুশি আছে। আমরা চেষ্টা করবো কালকের ম্যাচটা জিততে। এখানে আমাদের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করবো।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে দারুণ শুরুর পরও হুট করে ৫ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তাতে সহজ ম্যাচটা হাতছাড়া করে হেরে যায় সফরকারীরা। এরপর তানভীর ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারীদের বোলিংয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ান তারা। ১৬ রানের জয়ে সিরিজে এখন সমতা। দারুণ এক ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক মিরাজের কণ্ঠেও ছিল আত্মবিশ্বাসী সুর, ‘আমরা সেদিন (প্রথম ওয়ানডে) যেভাবে হেরেছি সেটি মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। জানতাম, সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। অবশ্যই চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সিরিজ জয় এবং আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে সিরিজ জিতেছিল মাশরাফির দল। ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ওয়ানডে সিরিজ। পাল্লেকেলের ভাগ্যে আজ কি তেমন কিছুই লেখা আছে? সেটি হলে লঙ্কানদের বিপক্ষে ইতিহাস রচিত হবে!