মোসাদ্দেককে ‘স্যরি’ বলেছেন লিপু

‘যতক্ষণ মিরাজ আছে, মোসাদ্দেকের কোনও সুযোগ নেই’- শ্রীলঙ্কার সিরিজের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এমনটাই বলেছিলেন। তার এই বক্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। যদিও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে অবস্থানকালে তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ জুন সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক লিপু। ১৬ সদস্যের দলে রাখা হয়নি সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দারুণ ছন্দে থাকা  মোসাদ্দেককে। সাংবাদিকরা তাই তার না থাকা নিয়ে প্রশ্ন ছোড়েন লিপুর দিকে। প্রধান নির্বাচকও স্পষ্ট করেন, কেন নেই মোসাদ্দেক। 

তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা মনে করছেন মোসাদ্দেক হোসেনের এই মূহর্তে জাতীয় দলে খেলা উচিত, আমি সেটি মনে করছি না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাচ্ছি, যতক্ষণ মিরাজ আছেন, মোসাদ্দেকের কোনও সুযোগ নেই। কোন জিনিস খুব স্পষ্টভাবে হওয়া উচিত, আপনারা বুঝেও অনেক সময় না বোঝার ভান করেন। এই মুহূর্তে ব্যাকআপ হিসেবে মোসাদ্দেক আছেন, কিন্তু যদি সুযোগ পান সামনে চলে আসতে পারেন। দরজা খোলাই আছে।’

বুধবার মোসাদ্দেকের ব্যাপারে ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন লিপু। আজ বিকেলে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘ভালোই হলো প্রশ্নটা উঠেছে। অনেকে ইউটিউবে সম্পাদনা করে নানা কিছু দেখান। তবে আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলাম। তখন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একটু অসাবধানতা হয়েছিল আমার। আমি বলেছিলাম, যতক্ষণ মিরাজ দলে আছে, ততক্ষণ মোসাদ্দেকের সুযোগ নাই। এখন বুঝি, আমার সে সময় তিনটি শব্দ চয়ন ঠিক ছিল না।’

একজন ক্রিকেটার সম্পর্কে এভাবে বলা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে লিপু বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে গিয়ে আমি নিজের মন্তব্য শুনলাম নিউজে। তখনই বুঝি- আমার বলা উচিত ছিল, মিরাজ থাকলে মোসাদ্দেকের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু আমি তা বলতে পারিনি। সেদিনই উপলব্ধি করি, আমার উপস্থাপনায় ভুল ছিল।’

মোসাদ্দেকের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়েছে লিপুর। তখন তাকে স্যরিও বলেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে লিপু বলেছেন, ‘দুই দিন পর আমার সঙ্গে মোসাদ্দেকের দেখা হয়। আমি তাকে সরাসরি বলেছি, স্যরি। আমি ওভাবে বলতে চাইনি এটা জানিয়েছি। আমি চাই মোসাদ্দেক অন্য সবার মতো যথেষ্ট ঘরোয়া ম্যাচ খেলুক। তাতেই আমাদের নজরে আসবে।’