লিটন দাস সর্বশেষ ৮ ওয়ানডের মধ্যে চারটিতে ডাক মেরেছেন। বাকি ৪ ম্যাচে সব মিলিয়ে করেছেন ১৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ডাক মারার পর শেষ দুটিতে তাকে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। সেই লিটনই টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাকে আসতে হয়েছে। তুলে ধরতে হয়েছে নিজের এবং দলের অবস্থান সম্পর্কে। এসময় তার মুখে ছিল রাজ্যের অন্ধকার।
আজ বুধবার পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘এখানে ছন্দ জিনিসটা তেমন না। ওয়ানডেতে ভালো করতে পারিনি বলে বেঞ্চে বসে ছিলাম। ওই সময়টায় যতটুকু সম্ভব টি-টোয়েন্টির জন্য অনুশীলন করেছি। চেষ্টা করবো সেটা মাঠে কাজে লাগানোর।’
লিটনের মতো জাতীয় দলের অবস্থাও ভালো নয়। কোনও ফরম্যাটেই স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে আরব আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ হারতে হয়েছে। পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই শুরু হচ্ছে আরও একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এধরনের অবিরাম ব্যর্থতাকে জীবনের অংশ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক লিটন।
তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি টি-টোয়েন্টির জায়গাতেই আছে। এটা আলাদা একটা ফরম্যাট। আমরা জানি কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়। সেভাবেই আমরা চেষ্টা করি। আমার জন্য প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ফরম্যাটে খেললে চেষ্টা করি শতভাগ দেওয়ার। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো (সিরিজ জয়ের)। তবে অবশ্যই সহজ হবে না। তারা তাদের হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে। আমরা চেষ্টা করবো শতভাগ দিয়ে খেলার। বাকিটা দেখা যাক।’
লিটন আরও বলেছেন, ‘আগেই বলেছি, আমি শুধু চেষ্টাই করতে পারবো। সেটা মাঠে হোক আর অনুশীলনে। অনেক সময় ব্যর্থতা চলে আসে, সাফল্যের হার কমে যায়। এটা জীবনেরই অংশ। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা এক-দেড় বছর সফল হয়েছে, আবার পরের বছরই ব্যর্থ হয়েছে। কী কারণে ব্যর্থতা আসছে, সেটা জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই মুহূর্তে সেটাই জানার চেষ্টা করছি। দেখি কীভাবে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারি।’