১৮০ মিনিটেও গোল নেই মেসি-নেইমার-সুয়ারেসের!

messiবিশ্বাসই হচ্ছে না জিয়ানলুইজি বুফনের। তা জুভেন্টাস গোলরক্ষকের মনে বিস্ময় ছড়ানোর কারণও আছে যথেষ্ট। যে আক্রমণভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় প্রতিপক্ষের রক্ষণ দূর্গ, সেই লিওনেল মেসি, লুই সুয়ারেস, নেইমার একবারের জন্যও পারলেন না বল জালে জড়াতে! বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগ হিসেবে বিবেচনা করা ‘এমএসএন’ ১৮০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে একবারও লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে তো সেটা বিস্ময় ছড়াবেই।

শুধু মেসি-সুয়ারেস-নেইমার নন, চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে গোলই পায়নি বার্সেলোনা। জুভেন্টাসের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে ফেরার পর ঘরের মাঠের দ্বিতীয় লেগ ড্র করেছে গোলশূন্যভাবে। ‘এমএসএন’ যখন গোল পাননি, তখন আসলে বার্সেলোনার স্কোরশিটে নাম তোলার সম্ভাবনা খুব একটা থাকেও না। কাতালানদের গোলোৎসবের দৃশ্যে তাদেরকেই যে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার মোট গোলের ৮০ শতাংশ করেছেন মেসি-সুয়ারেস-নেইমার।

প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়ানো ‘এমএসএন’ জুভেন্টাসের বিপক্ষে করতে পারেননি কিছুই। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ন্যু ক্যাম্পেও পারেননি হতাশার বৃত্ত ভাঙতে। সুযোগ তৈরি করলেও বল আর পারেননি জালে জড়াতে। বল গেছে শুধু পোস্টে বাতাস লাগিয়ে। যদিও পরিসংখ্যান বলছে ৪৯ ম্যাচে এই ত্রয়ী গোল পেয়েছেন তিন বা তার বেশি, চ্যাম্পিয়নস লিগে এমন ম্যাচের সংখ্যা ৯টি। যদিও কোনও পরিসংখ্যানই কথা বলেনি জুভেন্টাসের বিপক্ষে, তাদের কড়া রক্ষণ ভেঙে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারেননি কেউই। ইতালিয়ান ক্লাবটির কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির কাছে এই অর্জন নিঃসন্দেহে গর্বের। বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগকে বোতলবন্দি করে রাখা তো আর সহজ ব্যাপার নয়!

শেষ ষোলোর লড়াইয়ে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের বিপক্ষে রূপকথার জন্ম দিয়ে পাওয়া জয়ে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন লাতিন আমেরিকার এই ত্রিফলা। পিএসজির বিপক্ষে ন্যু ক্যাম্পে পাওয়া ৬-১ গোলের জয়ে ৪ গোলই করেছিলেন ‘এমএসএন’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইতিহাস লিখলেও সেই তারাই আটকে গেলেন জুভেন্টাস দেয়ালে। লিওনার্দো বনুচ্চি-জর্জিও কিয়েল্লিনিদের কড়া পাহারা আর গোলবারের নিচে বুফনের বিশ্বস্ত হাতের সামনে মেসিরা করলেন অসহায় আত্মসমর্পণ। মার্কা

/কেআর/