দুই দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জিতেছে। বার্সা যেমন ছিল দুর্দান্ত, রিয়ালও ঠিক তেমনই। ৬ মিনিটে বার্সেলোনা পরীক্ষা নেয় পালমাসকে। কর্নার থেকে নেইমার বল দেন ডিবক্সে, মেসির হেড চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ২ মিনিটে পর বার্সা গোলরক্ষক আন্দ্রে টার-স্টেগেন ঠেকান ভিয়েরার ফ্রিকিক। পরের আক্রমণ বার্সেলোনার। ১৩ মিনিটে জর্দি আলবার পাসে মেসির শট রুখে দেয় হলুদ জার্সিধারীদের দেয়াল।
প্রথমার্ধের শেষদিকে ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পালমাসের কেভিন প্রিন্স বোয়েটাং দুইবার সুযোগ নষ্ট করেন। তার শট চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। অবশ্য ৬৩ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় স্বাগতিকরা। বোয়েটাংয়ের বানিয়ে দেওয়া বলে পেদ্রো বিগাস ব্যবধান কমান। এক গোল হজম করে বার্সা যেন আরও দুর্দান্ত হয়ে ওঠে। ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৬৭ ও ৭১ মিনিটে গোল করে নেইমার হ্যাটট্রিক করেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে গোল দুটি করতে সহায়তা করেছেন রাকিতিচ ও আলবা। পরে আলকাসের ও মেসি সুযোগ নষ্ট না করলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত বার্সার।
সেভিয়ার বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই রবিবার মাঠে নেমেছিল রিয়াল। বেশ কয়েকবার হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যদের কাছ থেকে চাপের মুখে পড়েছিল তারা। বিশেষ করে স্টিভেন জোভেতিচ কয়েকবার রিয়ালকে পরীক্ষা নিয়েছিলেন। রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস কোনোবার আটকে দিয়েছেন, তো কোনও সময় ভাগ্য সহায় হয়নি সেভিয়ার।
তবে সবার আগে গোলমুখ খোলে রিয়াল। নাচোর গোলে ১০ মিনিটে ১-০ করে স্বাগতিকরা। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি মাইলফলক স্পর্শ করেন রোনালদো। রিয়ালের জার্সিতে গোলটি ছিল তার ৪০০তম। ক্লাবটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৪০০ গোলের মালিক হন পর্তুগিজ তারকা। বিরতি থেকে ফিরে জোভেতিচ রিয়ালকে এক গোল শোধ দিলে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় সেভিয়া। তবে ৭৮ মিনিটে গোল করে সব শঙ্কা দূর করেন রোনালদো। শেষ মুহূর্তে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেও পারেননি তিনি। শেষ বাঁশি বাজার ৬ মিনিট আগে টনি ক্রুস করেন রিয়ালের চতুর্থ গোল। সূত্র- ইএসপিএনএফসি, গোলডটকম
/এফএইচএম/