কাজানের উত্তেজনাকর সেমিফাইনালের নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয় একইভাবে। ফল নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়ায় তাই টাইব্রেকারে। যেখানে গোলরক্ষক ব্রাভোর বীরত্বে চিলি পৌঁছে যায় মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে।
লাতিন চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচটা না জিতলে অন্যায়ই হতো। অন্তত অতিরিক্ত সময়ের শেষ দুই মিনিটের সুযোগ সৃষ্টির কথা সামনে আনলে এমনটা বলাই যায়। ১১৯তম মিনিটে আরতুরো ভিদালের দূরপাল্লার শট প্রতিহত হয় পোস্টে, ফিরতি বল ফাঁকায় দাঁড়ানো রোদ্রিগেস শট করলেে এবার বল আঘাত করে বারে। ওই হতাশা ফুটবল দেবতা দূর করে দিয়েছেন টাইব্রেকারে দুহাত ভরে দিয়ে।
পিছিয়ে পড়ে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া পতুর্গালকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন মৌতিনিয়ো। তিনিও ধরা পড়লেন ব্রাভোর জালে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে তার নেওয়া শটও ঠেকিয়ে দেন চিলিয়ান অধিনায়ক। ওদিকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর চিলির তৃতীয় শট নিতে আসা আলেক্সিস সানচেস উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেন দুর্দান্ত শট থেকে লক্ষ্যভেদ করে। স্কোর তখন চিলি ৩-০ পর্তুগাল।
তৃতীয় শটটা জালে জড়াতে না পারলেই বিদায়- এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পেনাল্টি নিতে আসেন অভিজ্ঞ নানি। চাপটা আর নিতে পারলেন না। আগের দুই সতীর্থ বাঁ পাশ দিয়ে শট নিয়েছে ভেবেই সম্ভবত ডান দিক দিয়ে চেষ্টা করতে চাইলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক উইঙ্গার। কিন্তু এতটাই দুর্বল শট নিলেন যে, চতুর ব্রাভোর তিন নম্বর সেভটা করতে কোনও সমস্যাই হলো না।
তা তো করবেনই, ফাইনালে উঠা বলে কথা। তাও আবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে হারিয়ে!
/কেআর/