বার্সেলোনা-রিয়ালকে ছাড়িয়ে ‘এক নম্বর’ ম্যানইউ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডসবশেষ চার বছর সিংহাসনটা ধরে রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঠের ফুটবলে দাপট দেখানোর সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাবের মুকুটটাও ছিল স্প্যানিশ ক্লাবটির মাথায়। কিন্তু আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’-এর এবারের হিসাবে রিয়াল নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। মাদ্রিদের অভিজাতদের সরিয়ে শীর্ষস্থানটা দখল করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাবের তালিকার দ্বিতীয় স্থানটা বার্সেলোনার।

ফুটবল ক্লাবের হিসাবে ম্যানইউ এক নম্বরে থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় প্রিমিয়ার লিগের দলটি তৃতীয় স্থানে। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) ডালাস কাউবয়। আর ‘ফোর্বস’-এর বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেসবল ক্লাব নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিস। আমেরিকান ম্যাগাজিনটির হিসাবে ডাসালের দাম ৪.২ বিলিয়ন ডলার, ইয়াঙ্কিসের ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।

ম্যানইউয়ের দাম ৩.৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ জেতার আগ পর্যন্ত শিরোপাহীনভাবেই কাটাতে হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটিকে। এরপরও বিশ্বের সেরা ক্লাবের তালিকার তৃতীয় স্থান পাওয়াটা একটু চমক জাগানো ব্যাপারই। ‘ফোর্বস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘তাদের শক্তিশালী ব্র্যান্ডভ্যালু ও মার্কেটিং নীতির’ কারণে গত বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ দাম বেড়েছে ম্যানইউয়ের। ইংলিশ ক্লাবটি বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপ থেকে যে পরিমাণ আয় করেছে, তার ধারে কাছেও নেই কোনও ক্লাব। এই দুই খাত থেকে ‘রেড ডেভিলদের’ আয় ৪০৫ মিলিয়ন ডলার।

সবমিলিয়ে চতুর্থ ও ফুটবল ক্লাব হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার মূল্য বেড়েছে ২ শতাংশ। কাতালান ক্লাবটি দাম এখন ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় ছিল ছিল দ্বিতীয় স্থানে, কিন্তু টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলেও নেমে যেতে হয়েছে পাঁচে। ২ শতাংশ বাড়া ‘লস ব্লাঙ্কোদের’ দাম এখন ৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার। ইএসপিএন

/কেআর/