এবারের মৌসুমে এটা দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো। গত ৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নস কাপে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল ও বার্সা। পাঁচ গোলের সেই রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সা জিতেছিল ৩-২ গোলে। আজ অবশ্য সেদিনের জয়ের অন্যতম নায়ক নেইমারকে পাচ্ছে না কাতালান পরাশক্তিরা। ভয়ঙ্কর ‘এমএসএন’ আক্রমণভাগ ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা বার্সা সামলে উঠতে পারে কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষা!
বার্সেলোনার কোচ হিসেবে এর্নেস্তো ভালভারদের আনুষ্ঠানিক অভিষেক হচ্ছে আজই। এর আগে অ্যাথলেতিক বিলবাওর কোচ হিসেবে ২০ বার রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়ে মাত্র ৫টিতে জয় পেয়েছিলেন তিনি, হেরেছিলেন ১৩ বার। অবশ্য স্প্যানিশ সুপার কাপে সাফল্য আছে ভালভারদের। ২০১৫ সালে তার অধীনেই বিলবাও এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বার্সেলোনা।
এবার তিনি বার্সেলোনার কোচ। নেইমার পিএসজিতে চলে গেলেও আজকের কঠিন লড়াইয়ে ভালভারদেকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে পারে প্রাক মৌসুমের সব ম্যাচ জয়। জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়ালকে হারিয়ে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নস কাপ জিতেছিল বার্সা। অবশ্য সব জয়েই ছিল নেইমারের অবদান।
রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদানের ধারণা, নেইমারের শূন্যস্থান কখনও পূরণ না হলেও বার্সেলোনা আগের মতোই শক্তিশালী দল। সুপার কাপের রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বরং ভীষণ সতর্ক রিয়াল।
স্প্যানিশ সুপার কাপে সর্বশেষ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হয়েছিল ২০১২ সালে। ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগ বার্সা ৩-২ গোলে এবং বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগ রিয়াল জিতেছিল ২-১ গোলে। অ্যাগ্রিগেট ৪-৪ হলেও প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে শিরোপা উঠেছিল রিয়ালের ঘরে।
প্রাক মৌসুমের পারফরম্যান্স ভালো না হলেও সাফল্যের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ মাঠে নামছেন জিদানের শিষ্যরা। গত ৮ আগস্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জিতে নেওয়া রিয়ালের জন্য সুখবর, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের চোট সমস্যা নেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে তাই ‘বিবিসি’কে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা ফরাসী কিংবদন্তি জিদানের।
সুপার কাপে রিয়াল দশম শিরোপা উৎসবে মেতে ওঠে, নাকি নেইমারহীন ভালভারদের দলের নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা! সূত্র: মার্কা, গোল ডটকম, ইএসপিএনএফসি
/এফএইচএম/এএআর/