ফুটবল বিশ্বে আক্রমণভাগে অনেক তারকাকে খেলতে দেখা গেছে একসঙ্গে। তবে ‘এমএসএন’-এর মতো এমন আক্রমণাত্মক আক্রমণভাগকে দেখা যায়নি আর। যদিও মেসি, সুয়ারেস ও নেইমারকে নিয়ে তৈরি হওয়া ‘এমএসএন’-এর আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল অন্য এক ত্রয়ী। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজিমার সঙ্গে টটেনহ্যাম ছেড়ে গ্যারেথ বেল রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিলে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম তাদের নামের প্রথম অঙ্কর মিলিয়ে আক্রমণভাগের নাম দেয় ‘বিবিসি’।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাও তো একটা নাম চাই। নেইমারের পর সুয়ারেস বার্সেলোনায় যোগ দিলে ‘বিবিসি’-এর পাল্টা জবাব দেয় কাতালানরা ‘এমএসএন’ বানিয়ে। সেই ত্রয়ী ভেঙে গেছে নেইমার পিএসজিতে চলে যাওয়ায়। ব্রাজিলিয়ান তারকা ন্যু ক্যাম্প ছাড়ায় তার জায়গা পূরণে বার্সেলোনা ১০৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে দেম্বেলেকে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে থেকে ন্যু ক্যাম্পে নাম লেখানো এই ফরোয়ার্ড ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন নেইমারের রেখে যাওয়া ‘১১’ নম্বর জার্সি। তার যোগ দেওয়ার সঙ্গে বার্সেলোনায় তৈরি হলো নতুন আক্রমণভাগ। ‘মার্কা’ যার নাম দিয়েছে ‘এমএসডি’। মেসির ‘এম’, সুয়ারেসের ‘এস’, আর দেম্বেলের ‘ডি’ মিলিয়ে তৈরি হওয়া এই আক্রমণভাগ কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার। অনেকদিন একসঙ্গে খেলায় মেসি ও সুয়ারেসের বোঝাপড়ায় কোনও ঘাটতি নেই, তবে নতুন যোগ দেওয়া দেম্বেলে তাদের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারেন, তার ওপর নির্ভর করছে ‘এমএসডি’র সাফল্য।
সবকিছু মিলিয়ে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ২০ বছর বয়সী দেম্বেলের জন্য। নেইমারের জায়গায় যোগ দেওয়া এবং ‘১১’ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামতে যাওয়ায় এই ফরোয়ার্ডের ওপর থাকবে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপও। মেসি ও সুয়ারেসের সঙ্গে মিলে তিনি সেই প্রত্যাশার জবাব দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস কাতালানদের কোচ এরনেস্তো ভারভারদের। মার্কা