নেইমারের পিএসজিতে বিধ্বস্ত বায়ার্ন

পিএসজির জয়ে আবারও লক্ষ্যভেদ নেইমারেরঅলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন যারা, সেই তারাই রাঙালেন বুধবার রাতের পার্ক দে প্রিন্সেস। লিওঁর বিপক্ষে ফ্রি কিক নিয়ে এদিনসন কাভানির সঙ্গে বল কাড়াকাড়ি করেছিলেন দানি আলভেস। ওই কাভানির সঙ্গেই আবার পেনাল্টি কিক নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন নেইমার। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গোল পেলেন তারা তিনজনই। যাতে প্যারিসে বিধ্বস্ত হলো বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।

ম্যাচ ঘড়ির দ্বিতীয় মিনিটেই পিএসজি এগিয়ে যায় আলভেসের লক্ষ্যভেদে। ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ নেইমারের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় শুরুতেই এগিয়ে নেন এই রাইটব্যাক স্বাগতিকদের।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠার কম চেষ্টা করেনি বায়ার্ন। কিন্তু পিএসজির জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না কিছুতেই। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ফরাসি ক্লাবটির গোলরক্ষক আরেওলার দুর্দান্ত সেভে গোলের দেখা আর পাচ্ছিল না। জাবি মার্তিনেসের একটি শট যেভাবে ঠেকেয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক, সেটা ছিল এক কথায় দেখার মতো।

গোল শোধ তো করতেই পারছিল না বায়ার্ন, উল্টো পিএসজির আক্রমণাত্মক ফুটবলে মাঝেমধ্যেই তাদের রক্ষণভাগকে দিতে হচ্ছিল কঠিন পরীক্ষা। আক্রমণের পর আক্রমণ চালানো স্বাগতিকরা ৩১ মিনিটে পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোলের দেখাও। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন কাভানি। আলভেসের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বক্সের ভেতর ধরে ব্যাকপাস করেছিলেন কাইলিয়ান এমবাপে। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।

বিরতির আগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বায়ার্ন আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। উল্টো ৬৩ মিনিটে হজম করে তৃতীয় গোল। বায়ার্নের বিপক্ষে এত বড় একটা ম্যাচ, সেখানে ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় গোল না পেলে কি চলে! স্কোরশিটে তাই এবার নাম তুললেন নেইমার। গোল মুখে করা এমবাপের শট ‌‌‘ক্লিয়ার’ করতে চাইলেও ঠিকমতো পারেননি মার্তিনেস, বল চলে আসে ছোট বক্সের সামনে থাকা নেইমারের কাছে। পায়ের আলতো ছোঁয়ায় সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড বল জড়িয়ে দেন জালে।

তাতে বড় এক লজ্জা নিয়েই বায়ার্নকে ছাড়তে হয় পার্ক দে প্রিন্সেস। বিপরীতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজেদের ক্ষমতার বড় জানান দেয় পিএসজি। গোল ডটকম