‘বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে এসেছি’

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে চান চার্লি শেরিংহ্যাম। ছবি-সাইফ স্পোর্টিংঢাকায় এসে শুরুতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন চার্লি শেরিংহ্যাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের বিরতিতে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দুই গোল করার পর তাকে নিবন্ধন করতে দ্বিধা করেননি ক্লাবটির কর্মকর্তারা। আগামীকাল শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব। ঢাকার মাঠে এই ইংলিশ ফুটবলারের পরীক্ষাও শুরু কাল থেকে।

বাবা টেডি শেরিংহ্যাম ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার। ই্ংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ৫১  ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ১১টি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১৯৯৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অন্যতম নায়কও টেডি। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ফাইনালে তার গোলেই ইনজুরি সময়ে সমতা এনেছিল ম্যানইউ। ইনজুরি সময়ে আরেকটি গোল করে জিতে নিয়েছিল শিরোপাও।

বাবার মতো বিখ্যাত হতে পারেননি চার্লি শেরিংহ্যাম। একসময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্রিস্টাল প্যালেস আর বোর্নমাউথে খেললেও ঢাকায় আসার আগে খেলেছিলেন সেমি প্রফেশনাল লিগে। বাবার মতোই তিনি স্ট্রাইকার, বাবাই তার আদর্শ। বসুন্ধরায় ক্লাবের অনুশীলন শেষে ২৯ বছর বয়সী চার্লি বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘বাবাকে আদর্শ মেনে খেলে যাচ্ছি। বাবা অনেক বড় তারকা ছিলেন, জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলেছিলেন। ম্যানইউর হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন। আমিও ভালো খেলার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইংলিশ কোচ রায়ান নর্থমোরের মাধ্যমে ঢাকায় এসে আনন্দিত চার্লি, ‘এখানে এসে আমার খুব ভাল লাগছে। লিগের প্রথম পর্বে খেলা হয়নি, দ্বিতীয় পর্বে খেলবো। বাংলাদেশে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এসেছি।’

ঢাকায় অনেক গোল করার পাশাপাশি সাইফ স্পোর্টিংকে শিরোপা উপহার দেওয়ার লক্ষ্য জুনিয়র শেরিংহ্যামের, ‘আমি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একাধিক ক্লাব খেলেছি। কম বয়সে ছিলাম ক্রিস্টাল প্যালেস আর বোর্নমাউথে। সাইফের পরিবেশ ভালো লাগছে, আর রায়ানও ভালো কোচ। সতীর্থরা দারুণ আন্তরিক। নতুন দলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করাতে চাই, দলের হয়ে অনেক গোল করতে চাই। এই দেশের মানুষের মন জয় করতে এসেছি।’

বাবা টেডি শেরিংহ্যাম বর্তমানে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দল অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার কোচ। আইএসএলে খেলার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের আহ্বান অগ্রাহ্য করতে পারেননি চার্লি, ‘বাবা এখন ভারতের অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার কোচের দায়িত্বে আছেন। আমিও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ভারতের আগে বাংলাদেশ থেকে ডাক পেয়েছি। তাই এখানে খেলতে চলে এসেছি।’