বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে আধিপত্য করছে বাংলাদেশ নারী দল। টানা দুইবার সাফ জিতেছে। গত সপ্তাহে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ড্র করেছে। এছাড়া বয়সভিত্তিক প্রতিটি টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতছে বাংলাদেশ। তাই ছেলেদের মতো প্রবাসী নয়, স্থানীয়দের ওপরই ভরসা বাফুফের নারী উইং কমিটির।
নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রবাসী ফুটবলাররা দলের জন্য সাময়িক সাফল্যের টোটকা হতে পারে। তবে দেশের মাটিতে ফুটবলার তৈরি করতে পারলে সেই সাফল্য হয় দীর্ঘস্থায়ী। টানা দুটি সাফ জিতে এর প্রমাণ আমরা এরই মধ্যে পেয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য আরও একধাপ ওপরে ওঠা। দক্ষিণ এশিয়া নয়, এবার পুরো এশিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার সময় এসেছে আমাদের।’
প্রবাসী নারী ফুটবলার কি বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাবেন? এ বিষয়ে কিরণের উত্তর, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। একজন নারী ফুটবলারকে নিয়ে একবার আলোচনা হয়েছিলও। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এখনও এগোয়নি। জামাল ভূঁইয়া সেই ফুটবলারের ব্যাপারে বলেছিলেন।’
প্রবাসীদের দলে নিতে আপত্তি নেই জানিয়ে কিরণ বলেছেন, ‘প্রবাসী ফুটবলারদের দলে নেওয়া নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। তারাও বাংলাদেশি।’
তবে তারপরও তিনি দেশি ফুটবলারদের ওপর আস্থা রাখতে চান, ‘আমি বিশ্বাস করি, যারা দেশেই আছে, তাদের মধ্য থেকেই ভালো ফুটবলার তৈরি করে যদি পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে উপকার বয়ে আনবে।’
আগামী ১১ জুলাই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ। যদিও শেষ মুহূর্তে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে কিরণ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রতিটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হই। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এবং লড়াই করে জিততে পছন্দ করি। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, তেমনই বোঝা যায় দলটি আসলে কোন অবস্থানে আছে। ভারত শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করেছে, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আমরা খেলবো। তবে আমরা ভারতকে মাঠে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম।’
যদিও প্রত্যেক দলকেই সমীহ করছেন কিরণ। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেয়ে ট্রফি জিততে। আমি চাই শক্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে। এতেই আসল আনন্দ। ভারত না এলেও আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি ম্যাচই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এখানে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আছে। তারাও ভালো দল। আমরা মাঠে নামবো জয়ের জন্য এবং ইনশাআল্লাহ শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়বো।’