২০২৪ সালের এপ্রিলে টেস্ট দলের কোচ জ্যাসন গিলেস্পির সঙ্গে সাদা বলের কোচ হিসেবে গ্যারি কার্স্টেনকে নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দুই বছরের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ছয় মাস যেতেই পদত্যাগ করেন তিনি। দায়িত্ব ছাড়ার মাসখানেক পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানালেন কার্স্টেন।
আভ্যন্তরীণ ক্ষমতার প্রয়োগ ও কর্তৃত্বের অভাববোধ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ।
উইজডেন ক্রিকেট প্যাট্রিয়ন পডকাস্টকে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার জানালেন, তিনি দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না।
ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী কোচ কার্স্টেন বললেন, ‘কয়েক মাস ছিল খুব অস্থির। আমি দ্রুত বুঝতে পারলাম, আমি তেমন প্রভাব রাখতে পারবো না।’ এই ছয় মাসে কোনও ম্যাচই হয়নি। একটিও ম্যাচে কোচিং না করিয়ে সরে যেতে বাধ্য হন তিনি।
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য দল ঘোষণার একদিন পর ইস্তফা দেন কার্স্টেন। ওই দল নির্বাচনে কোনও ভূমিকা ছিল না তার। কারণ নতুন নির্বাচক কমিটি দল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া থেকে তাকে ও গিলেস্পিকে সরিয়ে দেন। তিনি বললেন, ‘আমাকে দল নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। দল গঠন করতে না পারায় কোচ হিসেবে দলে ইতিবাচক প্রভাব রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।’
তবে পরিবেশ ভালো হলে আবারও পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফেরার দরজা খোলা রাখছেন কার্স্টেন, ‘আগামীকাল যদি আমাকে ফিরতে বলা হয়, আমি যাবো, তবে সঠিক পরিবেশ তৈরি হলে। ক্রিকেটের লোক দিয়ে ক্রিকেট দলগুলোকে চালানো উচিত। বাইরে থেকে বেশি কথা হলে, হইচই হলে দলে থাকা নেতাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।’
সবশেষে তিনি বললেন, ‘অন্যান্য বিষয়ে কাজ করার জন্য আমি খুব বয়স্ক। আমি শুধু ক্রিকেট দলকে কোচিং করাতে চাই। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে চাই। পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা চমৎকার।’
পরে গিলেস্পিও পাকিস্তানের ক্রিকেট ছেড়ে দেন। সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদকে দেওয়া হয় দায়িত্ব। তিনিও বেশিদিন থাকতে পারেননি। বর্তমানে সীমিত ওভারের ক্রিকেট কোচিং চলছে মাইক হেসনের অধীনে। বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু হয়েছে এই কোচের পাকিস্তান অধ্যায়।