‘মেসি-রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিততাম’

ডিয়েগো ম্যারাডোনাপেলের সঙ্গে সবসময় চলে তার তুলনা। অনেকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকেই বিবেচনা করেন। অথচ ফুটবল বিশ্ব এখন সেরা খেলোয়াড় বিবেচনায় যে পুরস্কারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, সেই ব্যালন ডি’অর কখনও জেতা হয়নি ডিয়েগো ম্যারাডোনার। অবশ্য ‘সোনার বল’ না পাওয়ার কারণও আছে। তার খেলোয়াড়ি জীবনের সময় ‘ফ্রান্স ম্যাগাজিন’ পুরস্কারটা দিতো শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের। যদি এই নিয়মনীতি না থাকতো, তাহলে? আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির পরিষ্কার জবাব, লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকতো তার দখলে।

দিনকয়েক আগে প্যারিসে পঞ্চম ব্যালন ডি’অর হাতে তুলেছেন রোনালদো। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী মেসিকে ছুঁয়ে ফেলেছেন পুরস্কারের সংখ্যায়। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ও পর্তুগিজ তারকা গত দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন ফরাসি ম্যাগাজিনটির দেওয়া পুরস্কারে। দৃশ্যটা ম্যারাডোনার কাছে ‘বিরক্ত’ হয়ে ওঠেছে। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘এএস’কে সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেছেন, ‘ব্যালন ডি’অর? একজন খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর দেওয়াটা অনেক কঠিন, কারণ সবসময় রোনালদো কিংবা মেসিকেই দেওয়া হচ্ছে পুরস্কারটি, যা বিরক্তিকর।’

তাহলে অন্য কার হাতে পুরস্কারটি যেতে পারে, এমন প্রশ্নে ম্যারাডোনার উত্তর, ‘অন্য কে এটার দাবিদার? হয়তো (এদিনসন) কাভানি, (কাইলিয়ান) এমবাপে, (জ্লাতান) ইব্রাহিমোভিচ; যদিও আমি ঠিক বলতে পারব না। আগে অনেক বেশি প্রার্থী ছিল।’

সেই তালিকায় নিঃসন্দেহে ছিলেন ম্যারাডোনা নিজেও। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর সীমাবদ্ধ ছিল শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়ের জন্য। ইউরোপের বাইরের দেশের কোনও খেলোয়া্ড় দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও তাদের বিবেচনায় আনা হতো না। তাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা কিংবা নাপোলির মতো ‘দুর্বল’ দলকে সিরি ‘এ’ জেতানোর পরও ফুটবলে ব্যক্তিগত অর্জনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি পাওয়া হয়নি ‘ফুটবল ঈশ্বরের’। যদি নিয়মটা এখনকার মতো হতো, তাহলে? ম্যারাডোনার স্পষ্ট জবাব, ‘মেসি ও রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকতো আমার।’

খেলোয়াড়ি জীবনে ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর দেওয়া পুরস্কারটি না পেলেও ১৯৯৬ সালে ম্যারাডোনাকে দেওয়া হয়েছিল ‘বিশেষ’ ব্যালন ডি’অর। ডেইলি মেইল