‘উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিতে চেয়েছি’

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, পাশে মনিকা-তহুরাম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। বলতে গেলে নেপালকে কোনও সুযোগই দেয়নি কিশোরী ফুটবলররা। ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল শুরু করা তহুরা-মারিয়া-মনিকাদের ম্যাচ শেষে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে উল্লাস আপ্লুত করেছে হাজার খানেক দর্শককে।

সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারলেন না, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল জয় নিশ্চিত করা, তারপর দর্শকদের উপভোগ্য ফুটবল উপহার দেওয়া। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেয়েরা সেই চেষ্টাই করেছে। টুর্নামেন্টের আগে মেয়েরা শুধু নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছিল। তাই ফল নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল আমার মধ্যে। তবে ম্যাচ শেষে সব সংশয় কেটে গেছে। আরও বড় ব্যবধানে অবশ্য জিততে পারতাম। এখন দলের দুর্বল দিক নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের।’

একটি গোলের পর বাংলাদেশের মেয়েদের উল্লাস। ছবি-বাফুফেআজকের সাফল্যকে সঙ্গে নিয়ে পরের ম্যাচেও জয়ের প্রত্যাশা কোচের কণ্ঠে, ‘প্রথম ম্যাচ নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। আজ আমাদের জিততেই হতো। নেপালকে হারানোর পর আমাদের লক্ষ্য আগামী মঙ্গলবার ভুটানকে হারানো। ভুটানকে হারালে ফাইনাল ৮০ ভাগ নিশ্চিত আমাদের।’

হ্যাটট্রিক করেও ম্যাচসেরা হতে পারেনি তহুরা আক্তার। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মনিকা চাকমার হাতে উঠেছে এই পুরস্কার। ম্যাচের প্রথম গোল করা এই ফরোয়ার্ডের কথা, ‘প্রথম ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়ে আমি আনন্দিত। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দল বড় ব্যবধানে জিতলেও একাধিক গোল করতে পারিনি বলে একটু আফসোস হচ্ছে অবশ্য।’