ফুটবলার চম্পার এগিয়ে চলা

চম্পা মারমারাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী চম্পা মারমা। মাত্র ছয়  বছর বয়সে ফুটবলের সঙ্গে তার পরিচয়, আর সেই থেকে ফুটবল-প্রেম। কৃষক বাবা কখনও তার ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা দেখে হতাশ হননি, বরং অনুপ্রাণিত করেছেন সব সময়। বাবার স্বপ্ন, মেয়ে একদিন বিখ্যাত ফুটবলার হবে, দেশের মানুষ এক নামে তাকে চিনবে, তার ছবি ছাপা হবে পত্রিকায়।

বাবার স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা, তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে চম্পার আজকের কীর্তির কথা অন্তত চট্টগ্রাম বিভাগ মনে রাখবে অনেক দিন। বাংলাদেশ যুব গেমসের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খুলনা বিভাগকে চট্টগ্রাম উড়িয়ে দিয়েছে ৬-০ গোলে। ছয় গোলের পাঁচটিই চম্পার।

পাহাড়ি অঞ্চলে বাস, কৃষক বাবার ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা। তবু কেন ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন? বাংলা ট্রিবিউনের এই প্রশ্নে রাঙামাটির মেয়েটি বললেন, ‘ফুটবল আমার খুব প্রিয়, আমি ফুটবল না খেললে বাঁচবো না। আমি জাতীয় দলে খেলতে চাই। মনিকা, আনুচিং মগিনি, আনাই মগিনি আর সাবিনা আপুর মতো ফুটবলার হতে চাই। আমার শখ কিংবা স্বপ্ন শুধু ফুটবল নিয়ে।’

পরিবারের সদস্যরা কখনও ফুটবল খেলতে বাধা দেননি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন। তার কথা, “বাসার সবাই সাহায্য করে, ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। তবে রাঙামাটির বাইরে গেলে বাবা খুব টেনশন করেন। আমি তাদের বলি, ‘তোমরা আমার জন্য প্রার্থনা করো, যেন ভালো খেলতে পারি। আমি ভালো খেললেই তোমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

বাবার কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগাক্রান্ত টুর্নামেন্টে ১০ গোল করা চম্পা, ‘‘বাবা প্রায়ই বলেন, ‘তোকে বড় ফুটবলার হতে হবে, দেশের জার্সিতে খেলতে হবে। ভালো খেলতে পারলে দেশের মানুষ চিনবে, পত্রিকায় রিপোর্ট হবে, টিভিতে খবর হবে।’’

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই এগিয়ে চলেছেন চট্টগ্রামের ব্রোঞ্জ জয়ের রূপকার।