ফিরে দেখা বিশ্বকাপ

প্রথম বিশ্বকাপ: ফুটবলে নতুন যুগের শুরু

দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। রাশিয়ায় বসতে যাচ্ছে ফুটবল মহাযজ্ঞের ২১তম আসর। তার আগের প্রতিযোগিতাটিগুলো কেমন ছিল, কারাই বা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল- ফুটবল উৎসবের বানে ভেসে যাওয়ার আগে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সেখানে-

বিশ্বকাপের জন্য বানানো হয়েছিল এস্তাদিও সেন্তিনারিওফুটবলের নতুন যুগের সূচনা ১৯৩০ সালে। ফুটবল বিশ্বের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণে সেবারই প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফিফা। ১৩ থেকে ৩০ জুলাইয়ের এই প্রতিযোগিতার আয়োজকের দায়িত্বে ছিল উরুগুয়ে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপটা নিজেদের কাছেই রেখে দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। প্রথম আসরের সব ম্যাচই হয়েছিল উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওতে। আর বেশিরভাগ ম্যাচই হয়েছিল বিশ্বকাপের জন্য বানানো এস্তাদিও সেন্তিনারিওতে।

মোট ১৩ দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিশ্বকাপে গ্রুপ ছিল চারটি। প্রত্যেক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। শেষ চারে উঠে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুগোস্লাভিয়া। যেখানে ফাইনাল নিশ্চিত করে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আয়োজক ও প্রতিযোগিতাটির ফেভারিট উরুগুয়ে ৪-২ গোলে আলবিসেলেস্তেদের হারিয়ে ঘরে তোলে বিশ্বকাপ ট্রফি।

একনজরে:

আয়োজক: উরুগুয়ে

মোট দল: ১৩

ভেন্যু:

চ্যাম্পিয়ন: উরুগুয়ে

রানার্স-আপ: আর্জেন্টিনা।

মোট ম্যাচ: ১৮

মোট গোল: ৭০

সর্বোচ্চ গোলদাতা: গুয়েরমো স্তাবিল- ৮ গোল (আর্জেন্টিনা)

ফরম্যাট: ১৩ দলের প্রতিযোগিতায় গ্রুপ ছিল চারটি। একটি গ্রুপে ছিল চার দল, বাকি তিন গ্রুপে ছিল তিনটি করে দল। রবিন রাউন্ড পদ্ধতিতে খেলা গ্রুপ পর্বে জয়ের জন্য ছিল ২ পয়েন্ট, আর ড্রতে ১ পয়েন্ট। গ্রুপে দলগুলোর পয়েন্ট সমান হলে প্লে অফের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের নিয়ম ছিল, যদিও সেটা লাগেনি। নকআউট পর্বে ম্যাচ ড্র হলে ছিল অতিরিক্ত সময়ের ব্যবস্থা, সেটাও দরকার পড়েনি।

সেমিফাইনাল: সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন গুয়েরমো স্তাবিল ও কার্লোস পিউচেয়ে। আর হোসে পেদ্রো চিয়ার হ্যাটট্রিকে উরুগুয়েও একই ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে যুগোস্লাভিয়াকে।

ফাইনাল: ফাইনালে মুখোমুখি হয় উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে দাপট দেখানো আর্জেন্টিনা দাঁড়াতেই পারেনি, তাদের ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে স্বাগতিক উরুগুয়ে।