রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম লাল কার্ড সানচেসের

লাল কার্ড দেখলেন সানচেসরাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম লাল কার্ড দেখল কলম্বিয়া। মঙ্গলবার জাপানের বিপক্ষে ‘এইচ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তাদের মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেস পেয়েছেন সরাসরি লাল কার্ড।

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির কারণে ফিফা প্রত্যাশা করেছিল, রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডিসমিসাল’ হবে তুলনামূলক কম। বলা চলে হয়েছেও তাই। প্রথম ১৪ ম্যাচে নেই কোনও লাল কার্ড, হলুদ কার্ড কেবল ৪৪টি। শেষ পর্যন্ত ১৫তম ম্যাচে এসে ২১তম আসরের প্রথম লাল কার্ডের দেখা মিলল।

মাত্র তিন মিনিটেই ১০ জনের দল হয়ে যায় কলম্বিয়া। অফিসিয়াল সময়ের হিসাবে ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখেছেন সানচেস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে লাল কার্ড পেল কোনও খেলোয়াড়। এই লজ্জার রেকর্ডে সবার শীর্ষে উরুগুয়ের হোসে আলবের্তো বাতিস্তা, ১৯৮৬ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৪ সেকেন্ডে মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে।

বল ঠেকালেন সানচেসএই বিশ্বকাপের প্রথম লাল কার্ড সানচেস পেয়েছেন নিজেদের ডিবক্সে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে। কলম্বিয়াকে চেপে ধরে আক্রমণে গিয়েছিল জাপান। ওসাকার শট দারুণভাবে রুখে দেন গোলরক্ষক দাভিদ ওসপিনা। কিন্তু বল চলে গিয়েছিল শিনজি কাগাওয়ার কাছে। জাপানের এই তারকা ফরোয়ার্ড ক্ষিপ্রতার সঙ্গে লক্ষ্যে শট নেন। বল ফিরিয়ে দিয়ে ওসপিনা জায়গা মতো ছিলেন না। তাই কাগাওয়ার শটটি রুখতে হাত দিয়ে বল ঠেকান সানচেস।

রেফারি দামির স্কোমিনা এই মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দিতে খুব বেশি সময় নেননি। যদিও কলম্বিয়ান খেলোয়াড়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তেই হয় সানচেসকে। আর পেনাল্টি থেকে কাগাওয়া গোল করে এগিয়ে নেন জাপানকে।

সানচেসের এই লাল কার্ডটি ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে উরুগুয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে লুই সুয়ারেসের হ্যান্ডবলকে মনে করিয়ে দিলো।