ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির কারণে ফিফা প্রত্যাশা করেছিল, রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডিসমিসাল’ হবে তুলনামূলক কম। বলা চলে হয়েছেও তাই। প্রথম ১৪ ম্যাচে নেই কোনও লাল কার্ড, হলুদ কার্ড কেবল ৪৪টি। শেষ পর্যন্ত ১৫তম ম্যাচে এসে ২১তম আসরের প্রথম লাল কার্ডের দেখা মিলল।
মাত্র তিন মিনিটেই ১০ জনের দল হয়ে যায় কলম্বিয়া। অফিসিয়াল সময়ের হিসাবে ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখেছেন সানচেস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে লাল কার্ড পেল কোনও খেলোয়াড়। এই লজ্জার রেকর্ডে সবার শীর্ষে উরুগুয়ের হোসে আলবের্তো বাতিস্তা, ১৯৮৬ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৪ সেকেন্ডে মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে।
রেফারি দামির স্কোমিনা এই মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দিতে খুব বেশি সময় নেননি। যদিও কলম্বিয়ান খেলোয়াড়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তেই হয় সানচেসকে। আর পেনাল্টি থেকে কাগাওয়া গোল করে এগিয়ে নেন জাপানকে।
সানচেসের এই লাল কার্ডটি ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে উরুগুয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে লুই সুয়ারেসের হ্যান্ডবলকে মনে করিয়ে দিলো।