বিশ্বকাপে ফিট মোহাম্মদ সালাহ। তার একাদশে আসার খবরে বেশ নড়েচড়ে বসেছিল মিশর। প্রথমার্ধে গোলমুখে তাদের বেশ কয়েকটি চেষ্টা নজর কেড়েছিল। শুরুর ৪৫ মিনিট ম্যাচ ছিল তাদের হাতে। যদিও গোলের দেখা পায়নি কোনও দল।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় পুরো ম্যাচের চিত্র। ৪৭ মিনিটে জবনিনের দুর্বল শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান আহমেদ ফাথি। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়া রাশিয়াকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এটা নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে আত্মঘাতী গোল হলো ৫টি। এক আসরে এর চেয়ে বেশি ৬টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।
মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের দর্শকদের উল্লাসে মাতান স্বাগতিকরা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ফের্নান্দেসের কাটব্যাক থেকে বল পেয়ে ডেনিস চেরিশেভ দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। সৌদি আরবের বিপক্ষে জোড়া গোল করা এই রুশ ফরোয়ার্ড টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করেন ৫৯ মিনিটে।
৭৩ মিনিটে একটি গোল শোধ করে মিশর। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মাথায় ফাউলের শিকার হন সালাহ। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি সালাহ। কিন্তু শেষ ১৭ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি মিশরের এই ‘মহাতারকা’। আবদেলরহমান ফাউজি (১৯৩৪) ও মাগদি আবেদ এল ঘানির (১৯৯০) পর তৃতীয় মিশরীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোলের কৃতিত্ব গড়লেন সালাহ।
এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে গেল মিশর। বুধবার উরুগুয়ে সৌদি আরবকে হারালেই থামবে তাদের বিশ্বকাপে টিকে থাকার স্বপ্ন। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রাশিয়া। উরুগুয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই স্বাগতিকরা পাবে শেষ ষোলোর টিকিট।