ইউরোপে সবাইকে ছাড়িয়ে রোনালদো

রোনালেদোম্যাচ ঘড়ির চতুর্থ মিনিটে গোল করে দিলেন ভোঁ দৌড়। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ওই লক্ষ্যভেদেই মরক্কোর বিপক্ষে পর্তুগাল পায় ১-০ গোলের জয়। দলের জয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত অর্জনেও নতুন প্রাপ্তি যোগ হয়েছে পর্তুগিজ অধিনায়কের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনিই।

গোটা বিশ্বের কথা ধরলে রোনালদো এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার চেয়ে বেশি গোল কেবল আলী দাইয়ের। ইরান কিংবদন্তি ১০৯ গোল নিয়ে আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে। ঠিক তার পেছনেই দাঁড়িয়ে এখন রোনালদো ৮৫ গোল করে।

ইউরোপে অবশ্য তিনিই শীর্ষে। মরক্কোর বিপক্ষে হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ছাড়িয়ে গেছেন এতদিন শীর্ষে থাকা ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। স্পেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তির ৮৪ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন রোনালদো। আর মরক্কোর বিপক্ষে জাল খুঁজে পেয়েই ছাড়িযে যান তাকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার চেয়ে বেশি গোল ইউরোপে আর কারও নেই। পুসকাস ৮৯ ম্যাচে করেছিলেন ৮৪ গোল। আর রোনালদো তার ৮৫ গোল করতে খেলেছেন ১৫২ ম্যাচ।

আরেকটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উইঙ্গার। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে জোসে তোরেসের পর তিনিই প্রথম পর্তুগিজ খেলোয়াড়, যিনি নির্দিষ্ট কোনও বিশ্বকাপে ডান পা, বাঁ পা ও হেডে লক্ষ্যভেদ করলেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের ব্যর্থতাই যেন দূর করতে চাইছেন তিনি রাশিয়ার আসর দিয়ে। দুই ম্যাচে চারবার লক্ষ্যভেদ করে রোনালদোই এখন গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর রোনালদো পর্তুগালের জার্সিতে প্রথমবার লক্ষ্যভেদ করেন ২০০৪ সালের ইউরোতে। ওই ম্যচে অবশ্য গ্রিসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল পর্তুগিজরা। গোল ডটকম