‘সি’ গ্রুপে আজকের এই দ্বিতীয় ম্যাচটি রাত ৯টায় সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল নাগরিক, মাছরাঙা, সনি টেন ২ ও টেন ৩।
১৯৮২ সালের পর প্রথমবার সাক্ষাৎ হচ্ছে ফ্রান্স ও পেরুর। ওই বছরের এপ্রিলে পার্ক ডি প্রিন্সেসে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারায় পেরুভিয়ানরা। ৩৬ বছর আগের জয় আত্মবিশ্বাসী না করলেও অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারে তারা। তবে ‘হেভিওয়েট’ এই ম্যাচে ফ্রান্সকে হারাতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করছে পেরু থেকে রাশিয়ায় আসা ৪০ হাজার সমর্থক।
পেরুর ফরোয়ার্ড রাউল রুইদিয়াস বলেছেন, ‘সারানস্কতে আমাদের জাতীয় সংগীতের সময় গ্যালারিতে দেশের মানুষের ভালোবাসা-আবেগ ছিল চমৎকার। আমরা জানি আমাদের দেশের মানুষের কাছে বিশ্বকাপের মানে কী। আমরা যখনই মাঠে যাই, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে আসি।’
এদিকে ফ্রান্স ক্যাম্পে প্রথম ম্যাচ নিয়ে ‘বিভক্তি’। একদিকে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর দারুণ অনুভূতি, আরেক দিকে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টি। ২০১০ সালে মেক্সিকো ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর থেকে বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বে টানা অজেয় দলটি এবার আত্মতৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায়। পরিসংখ্যান কিন্তু তাদের পক্ষে। শেষবার তারা বিশ্বকাপে কোনও দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছিল ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ৭ ম্যাচ খেলে ৩ জয় ও ৪ ড্র করেছে তারা কোনও দক্ষিণ আমেরিকার দলের সঙ্গে।
ম্যাচটি জিতলে ফ্রান্স এক পা দিয়ে রাখবে শেষ ষোলোতে। তবে দিনের আগের ম্যাচে ডেনমার্ক অস্ট্রেলিয়াকে হারালে পেরুর বিপক্ষে জয় সুনিশ্চিত করবে ফ্রান্সের নকআউট পর্বের টিকিট। তখন ডেনিসদের সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে শেষ ষোলোতে উঠবে ফরাসিরা।